জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জাল নোট সরবরাহের অভিযোগে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল সোমবার দিনগত রাতে তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার কেএফসি দোকানের মালিক জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে জানান প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন।
সন্দেহভাজন রুহুল আমিন ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার খুলনা গ্রামের মৃত আ. খালেক হাওলাদারের ছেলে। তিনি আশুলিয়া এলাকায় টাইলস মিস্ত্রির কাজ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুহুল আমিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার একটি দোকানে খাবার কিনে দোকানিকে এক হাজার টাকার নোট দেন। এসময় দোকানি নোটটি জাল বলে সন্দেহ করলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে তাকে মারধর করে। পরে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে ঘটনাস্থল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নিয়ে গিয়ে সেখানেও তাকে মারধর করে।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন।
রুহুল আমিন বলেন, দোকানিকে টাকা দেয়ার পর তিনি টাকা পাল্টিয়ে অন্য টাকা দিয়েছেন। আমার কাছে থাকা অন্য নোটটিও পরে পাল্টিয়ে জাল নোট বলে আমাকে মারধর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, একজনকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। তবে ভর্তিচ্ছুক অবিভাবককে মারধরের ঘটনা একটা ভুল বোঝাবুঝি।
তবে এ ঘটনায় একটি চক্র জড়িত আছে বলে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে ইতোমধ্যে অসংখ্য জাল নোট ছড়িয়ে পড়েছে। বিকেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও দোকানি এসে আরও কিছু জাল নোট দিয়ে গেছে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত ২৪টি (১০০০ টাকার) জাল নোট উদ্ধার করেছি।
মন্তব্য করুন