নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘সামনে খেলা হবে, লড়াই হবে। আমরা লড়াইয়ের প্রথম ঢোল বাজাতে চাই। ওরা সমস্ত ষড়যন্ত্র করবে। ষড়যন্ত্রের এখনো কিছুই শুরু হয়নি। শকুনরা সব আকাশে উড়ছে। সময়মতো আমাদের উপর থাবা দিবে। সামনে ধাক্কা আসতেছে। এই ধাক্কাকে মোকাবেলা করতে হবে। এই লড়াই হবে শেষ লড়াই। এই লড়াইতে ওদের সমস্ত শক্তি ক্ষয় হয়ে যাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মাসদাইরে অবস্থিত বাংলা ভবনে এক কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হাতে সময় খুব কম। আর মাত্র বিশ দিন। এই বিশ দিনে সকল খুনিরা একত্র হবে। মুখে মুখে অনেকে সভ্যতার কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে। আবার তারাই মোহাম্মদপুরে মিটিং করে। ধরাও পড়ে, গাড়ি নিয়েও পালায়। ওইদিন নাই। ওইদিন চলে গেছে। শেখ হাসিনা মীর জাফরদের চিনে রাখছে। তিনি কড়া হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জে খেলতে আইসেন না। যদি কেউ ২০১৪ সালের মতো খেলতে চায় তাহলে একটু কঠিন খেলা খেলবো, আরেকটু খারাপ খেলা খেলবো। কি করবো? ডাইরেক্ট হিটে চলে যাবো। কসম করে বলতাছি, নারায়ণগঞ্জে এই খেলা খেলার চেষ্টা কইরেন না। জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে গেলে বাড়ির ইট কিন্তু কারোর থাকবে না। মনে রাইখেন। ৯ তারিখের পর থেকে খেলা শুরু হবে। পারবে কিনা সেটা পরের কথা। শামীম ওসমান বলেন, মীর জাফরদের এমপি হতে দেবো না। সাচ্ছা কর্মীদের লড়াই হবে। এ লড়াই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা আনার লড়াই না, দেশকে বাচানোর লড়াই। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের রাজপথে আমরা লাখো লোক নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম শেখ হাসিনার একটি নির্দেশের অপেক্ষায় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আমরা প্রস্তুত আছি। একটি ডাক দিবে আমরা ভীমরুলের চাকের মতো ঢাকার রাজপথ দখল করার ক্ষমতা রয়েছে। এ মাসের ২১ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ঢাকায় ট্রেনিং নিতে যাবো। ২৭ অক্টোবর সামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে দুপুর ৩টায় নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ জনসভা করবো। নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য আসনের লোকদেরও দাওয়াত করবো। মিটিংয়ের প্রধান অতিথি থেকে সবকিছুই আপনারা।
কর্মীসভায় মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মোহসিন মিয়া প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন