মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মুসলমান একবারই মরে : শামীম ওসমান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২২, ৮:১৭ পিএম

 নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, তারেক রহমানকে আমি সাহেব বলি। কারণ যদি আবার বোমা মেরে দেয়। এ কারণেই বাড়ির ছাদে ছাদে পুলিশ। কিন্তু আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করি না। কারণ মুসলমান একবারই মরে। শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য আমার আপসোস লাগে। লন্ডন থেকে নির্দেশ আসছে আপনারা বাংলাদেশ লাফাচ্ছেন। ছাগলের এক বাচ্চা দুধ খায় আর বাকিরা লাফায়। লাফান কোনো সমস্যা নাই। যার নির্দেশে এত লাফালাফি তার বুকে কী কলিজা নাই, না সাহস নাই। মানসিকভাবে দুর্বল যে খুন করেছি, গেলে অ্যারেস্ট হব। খালেদা জিয়ার ছেলের বউতো বড় ডাক্তার, ভালো ঘরের মহিলা, কই তিনিও তো আসলেন না। আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, সামনে কঠিন সময় আসছে। জনগণ ভোট না দিলে ক্ষমতায় থাকব না। কিন্তু এখন সরকার না বরং দেশকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আপনারা খেলবেন বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে, আর আমরা খেলব দেশকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিতে। আর যদি মনে করেন সেই খেলায় জিতবেন, তাহলে তারিখ দেন। সেদিন খেলি।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের জন্মস্থান, সকল আন্দোলনের সূতিকাগার। এখানে বঙ্গবন্ধু বার বার এসেছেন। সেই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াতের দোসররা যে ভাষায় জাতির জনকের কন্যাকে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছেন, মিটিং করছেন, এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। কর্মীদের কথায়, জনগণের কথায় আমি মিটিং ডেকেছি। বিশ্বের অবস্থা টালমাটাল। এখন আমাদের মিটিং করার কথা না। কিন্তু যখন দেখলাম ঢাকায় মিছিল হচ্ছে পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার- মানে যেভাবে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারকে হত্যা করেছে সেভাবেই শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে হত্যা করতে চায়। বাঙালি জাতির দিশারীকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়।

তিনি বলেন, কিছু তথাকথিত সুশীল বক্তব্য দিচ্ছে রাজপথ দখলে নিতে হবে। শেখ হাসিনার সঙ্গে নাকি কেউ নাই। তাই আজকে সমাবেশ। আজ দেখেন রাজপথ শেখ হাসিনার দখলে। যারা শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করতে চান, তাদের বলতে চাই- যখন বোমা হামলার পর নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম না, তখন বার বার বলেছিলাম ‘শেখ হাসিনাকে বাঁচান’। তখনো আমরা জানতাম না কি হয়েছে। দুইদিন পর খালেদা জিয়া বললেন- ওই বোমা হামলা নাকি আমরাই করেছি জাতির পিতার জন্য নিরাপত্তা আইন পাস করাতে।

শামীম ওসমান বলেন, যখন টিভির পর্দায় দেখি ফখরুল ইসলামরা খিলখিলিয়ে হেসে বলেন- সামনে নাকি আওয়ামী লীগ শর্ষে ফুল দেখবে। বলে বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। বাংলাদেশ যদি শ্রীলঙ্কা হয়, তাহলে আপনারা খুশী হবেন কেন। দায়িত্বশীল হলে বলেন কোথায় ভুল হচ্ছে, কী করা যায়। আপনারা এত খুশি কেন? আগে অনেক দিন পর পর একজন মীরজাফর আসতো। এখন ক্ষণে ক্ষণে মীরজাফর আর খন্দকার মোশতাকেরা জন্ম নেয়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এখন আর আওয়ামী লীগের সম্পদ না। শেখ হাসিনা এখন আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। তাই জাতির জনকের কন্যা গত ১৬ আগস্ট বক্তব্য দেন- চারদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে বলছেন, বলেন কোনো সমস্যা নাই। আপনারা মনে করছেন এসব কথা বললে আপনাদের আঘাত করব, কিন্তু না করব না। রাজনীতি করতে আসছেন সভ্য ভাষায় কথা বলেন। আমাদের ভুল থাকলে ভুল ধরিয়ে দেন। ভুল হলে ধরিয়ে দেন। আপনাদের টার্গেট সরকার ফেলা না বরং শেখ হাসিনাকে ফেলে দেওয়া।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীলের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, দপ্তর সম্পাদক এমএ রাসেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি প্রমুখ। এছাড়াও সমাবেশে সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি শিরিন বেগম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাবেক সভাপতি মোহসীন মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাজাদাত হোসেন সাজনু, হোসিয়ারি সমিতির সভাপতি নাজমুল আলম সজল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, কৃষক লীগ নেতা জিল্লুর রহমান লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন