বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পদ্মা নদী ড্রেজিং করা হলে শুষ্ক মৌসুমে পানির আপদকালীন অবস্থা মোকাবেলা করা যাবে

মুরশাদ সুবহানী, পাবনা থেকে | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৮, ৩:১৪ পিএম

ভারতের ফারাক্কা ব্যারেজের প্রভাবে প্রায় শুকিয়ে ভরাট হয়ে যাওয়া গত ২ সপ্তাহ আগে পদ্মা নদীতে প্রবল স্রোতে আর পানি পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। নদী ভঙ্গন ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। এই সময়ের মধ্যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা নদীর ১৪.২৫ মিটার বিপদ সীমার খুব কাছ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। বর্তমানে পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বিপদ সীমার প্রায় ২ ফুট নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। আবার প্রবল বর্ষণ এবং ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়া না হলে আপাতত বন্যার আশংকা দূর হয়েছে। পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এখন পদ্মার পানি আর বাড়বে না। ক্রমেই কমে যাবে। শুষ্ক মওসুম শুরু হওয়ার আগেই পদ্মা নদী তার সাবেক শুষ্ক অবয়বে ফিরে আসবে। চর জেগে উঠবে। সেচের জন্য পানির সংকট সৃষ্টি হবে। মৎস্য পাওয়া যাবে না। মাঝিদের নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। মাছের উপর নির্ভরশীল মানুষজন জীবিকা হারাবেন। জীব-বৈচিত্রের উপর পানির অভাবে প্রভাব পড়বে। পদ্মা চিরাচরিত সেই রূপ পরিগ্রহ করবে। বর্ষা মওসুমে বানভাসি হেব ভাটির বাংলাদেশে। শুষ্ক মওসুমে পদ্মায় পানি না থাকার কারণে পদ্মার প্রধান শাখা নদী গড়াই, আত্রাই শুকিয়ে যাবে। এই সব নদীর শাখা নদীসহ প্রায় ৫৩টি নদী পানি শূন্য হয়ে পড়বে। নদীতে পানির প্রবাহ থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসহ এর শাখা নদীগুলো বাঁচাতে ৩০ সালা মেয়াদি ভারতের সাথে গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি করেন। ভারত চুক্তির পর থেকে কোন বারই চুক্তি মাফিক পানি ভাটির দেশ বাংলাদেশকে দেয়নি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র । পানির ব্যাপারে কট্টর অবস্থান নিয়ে আছে। তিস্তা চুক্তি হয়নি। পদ্মা-তিস্তার করুণ দশা দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘ আমরা ভাটির দেশে। আমাদের কত দিন পানি না দিয়ে থাকবে।’ তিনি নদী ড্রেজিং পরিকল্পনার কথা বলে ছিলেন। এটি মেগা প্রজেক্ট । পরিকল্পনা মাফিক পদ্মা নদী ড্রেজিং করা গেলে এর সুফল পাওয়া যাবে, বর্ষা মওসুমে ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়ে পদ্মা নদীতে যখন পানি ছাড়বে সেই পানি নদীর বুকে ধরে রাখতে পারলে , শুষ্ক মওসুমে পানির আপদকালীন অবস্থা মোকাবেলা করা যাবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন