চরফ্যাসন আধুনিক বাসস্ট্যান্ডে এক শ্রেণির সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে। ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত ভোলা-চরফ্যাসনসহ বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। শত শত যাত্রী যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে সরেজমিন জানা যায়, গত রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১১টায় বাস শ্রমিক মঞ্জুর ও বেল্লাল বাসডিপোর মধ্যে ঘুমিয়েছিল। ৮-৯ জনের একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের ডাক-চিৎকারে ডিপোতে অবস্থানকৃত শ্রমিকরা বাবুল নামক এক যুবককে আটক করে থানায় সপর্দ করা হয়। দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে রাত থেকে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থেকে ভোলা-চরফ্যাসন ও আঞ্চলিক সকল সড়কের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। রাত সাড়ে ১১টা থেকে গতকাল সোমবার সাড়ে ৯টায় পর্যন্ত ১০ ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ থাকে। এতে দূর-দূরান্তে যাত্রীদের যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। সোমবার সকাল থেকে শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সড়কে বিদ্যুতের খাম্বা দিয়ে এবং টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বাসযাত্রী নুরুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, আমি ভোলা যাব সকাল ৭টায় থেকে দুই ঘণ্টায় বসেও বাস পাইনি। আমাদের দুর্ভোগের জন্য কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
ভোলা জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, চরফ্যাসন আধুনিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, ছিনতাই ও চুরি কার্যক্রম দীর্ঘ ১৫ দিনে ধরে চলে আসছে। বাস শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। বাস মালিক সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রভাষক মনির উদ্দিন চাষির দুর্বৃত্তদের বিচারের আশ্বাসে শ্রমিকরা ১০ ঘণ্টা পর সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে। তারা প্রশাসনসহ উপমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। চরফ্যাসন থানার অফিসার ইনচার্জ ম. এনামুল হক বলেন, বাসস্ট্যান্ড ডিপোতে শ্রমিকরা তাস খেলছিল। ওইখানে যুবকরা গিয়েছিল। আমরা বাবুল নামে এক যুবককে আটক করেছি। পরে বাসমালিক সমিতি কর্র্র্তৃপক্ষ প্রভাষক মনির উদ্দিন চাষি বিষয়টি ফয়সালার আশ্বাসে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন