‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’› প্রবাদসম এই কথাটি যেন আজকাল অনেকটা কেতাবি কথাই হয়ে ওঠেছে। কেননা সেবার বদলে পুলিশের বিভিন্ন অনিয়মের কথাই লোকমুখে চাউর হয়ে ফিরে। চরমতম এই ক্রান্তিকালেও কিছু পুলিশের মহানুভবতাতে মানুষ হয়ে ওঠেন মুগ্ধ, ফিরে পায় বিশ্বাস। এমনই এক প্রমাণই দেখালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত সহকারি উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) মো. ফরহাদ মিয়া। তাঁরই বদান্যতায় মাওলানা মাজহারুল ইসলাম নামের এক মাদরাসা শিক্ষক ফিরে পেলেন তাঁর বাড়ি-জমির হারানো মূল্যবান দলিল।
গত রোববার সন্ধ্যায় মাওলানা মাজহারুল ইসলাম নামের ওই মাদরাসা শিক্ষককে তাঁর বাড়ি-জমির হারানো মূল্যবান দলিলপত্র বুঝিয়ে দিলেন ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই ফরহাদ মিয়া।
দলিল ফিরে পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন মাওলানা মাজহারুল ইসলাম। দলিল হস্তান্তরকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ট্রাফিক কার্যালয়ে ওইসময় ট্রাফিক পরিদর্শ (ওসি) আহম্মদ নূর, সহকারি উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) শরীফুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর বিকেল ৩ টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের শহরের দক্ষিণ পৈরতলায় দায়িত্ব পালন করছিলেন মো. ফরহাদ মিয়া। মহাসড়কের বাইপাস ব্রিজের কাছাকাছি থেকে একটি খামে মোড়ানো কাগজ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি কাগজটি কুড়িয়ে তা খুলে দেখেন বাড়ি ও ডোবার মূল্যবান দলিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গত রোববার রাতে এই দলিলের মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয় তার দলিল।
শিক্ষক মাওলানা মাজহারুল ইসলাম জানান, ওই দিন সকালে দলিলপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে দক্ষিণ পৈরতলায় নামেন। সেখান থেকে তাঁর গন্তব্যস্থল কাজিপাড়ায় পৌঁছান ঠিকই, কিন্তু পথে হারিয়ে ফেলেন সাথে থাকা চার শতক বাড়ি এবং দুই শতক ডোবা ভূমির সাফ কাবলা মূল দলিল। অনেক খুঁজাখুঁজির পরও তিনি দলিলগুলো আর পাননি। পরে ফোন আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাফিক অফিস থেকে। পরিচয় দিয়ে বলে আমি পুলিশ ফরহাদ মিয়া। আপনার বাড়ির দলিলটি পাওয়া গেছে আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবেন। তার মহানুভবতার কারনে আমার হারিয়ে যাওয়া দলিলটি পুনরায় ফিরে পায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন