নিরাপদ সড়কের দাবীতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন ও তাদের দাবীসমূহ সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। মন্ত্রীরা তাদের দাবী যৌক্তিক বলে উলেখ করেছেন। সরকারী দলের সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল কাদেরও তাদের দাবীকে যৌক্তিক বলেছেন। পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যরা ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন করে কোন কোন ক্ষেত্রে সহায়তাও দিচ্ছেন। যাত্রী সাধারণ ও পথচারীগণের বক্তব্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে নিলে নিরাপদ সড়ক অনেকটা বাস্তবায়ন হবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর উচিত অতি দ্রæত তাদের দাবীসমূহ মেনে নিয়ে পরিবেশ শান্ত করা। কারণ ছাত্ররা অন্যকারো আশ্বাসকে কথার কথা বলে মনে করছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও যাত্রী সাধারণগণও মনে করছেন একমাত্র নৌ-মন্ত্রীর অপসারণের মাধ্যমেই ড্রাইভার ও যানবাহন মালিকদের বেপরোয়া মনোভাব দূর করা সম্ভব। বাংলাদেশ যুব জমিয়ত ও ইশা ছাত্র আন্দোলনে পৃথক পৃথক মানব বন্ধনের কর্তসূচীতে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেছেন। যুব জমিয়ত ঢাকা মহানগর গতকাল বেলা ১২টায় এবং ইশা ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানবন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন শিক্ষার্থীরা গত দু’দিনে লাইসেন্সবিহীন যত যানবাহন ও ড্রাইভার আটক করেছে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বরত পুলিশেরা গত এক বছরেও যানবাহান ও ড্রাইভার আটক করতে পারেনি। পুলিশ প্রশাসনকে এর জবাব দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন যানবাহন নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে নিয়োজিত ড্রাফিক পুলিশ এবং সার্জেন্টরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে এবং ঘুষের বিনিময়ে লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভারদেরকে ছেড়ে না দিলে এবং নৌ-মন্ত্রীকে অপসারণ করলে সড়ক নিরাপদ হতে বাদ্ধ।
পৃথক পৃথক মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন যুব জমিয়ত ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মুফতী জাবের কাসেমী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী মাওলানা গোলাম মাওলা কাসেমী, ইশা ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ ও সেক্রেটারী হাসিবুল প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন