চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বালি বিক্রির আধিপত্য বিস্তারের জেরে ছুরিকাঘাতে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার নবগঠিত খিরাম ইউপির দক্ষিণ খিরাম হচ্ছারঘাট এলাকার ফুলতলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে গতকাল সকাল-দুপুরে খুনীদের ঘর-বাড়ী এবং দোকান-পাঠে অগ্নিসংযোগ করেছে ক্ষুব্ধ জনতা। এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে, যে কোন সময় পাল্টা ঘটনার আংশকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ খিরামের হচ্ছারঘাটস্থ ফুলতলী বাজার টেকে ‘সর্ত্তাখালের অবৈধ বালি বিক্রি’ নিয়ে দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মী মনা মিয়া ও আবু তাহেরের সাথে একই এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী আলী আকবর ফয়সলের কথা কাটাকাটি চলছিল। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় যুবলীগ কর্মী মনা মিয়া ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সলকে পেটে এবং হাতে ছুরিকাঘাত করলে সে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ এবং নাড়ী-ভূড়ি বেরিয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। পরে স্থানীয়রা আহত ফয়সলকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে নাজিরহাটস্থ উপজেলা হাসপাতাল এবং পরে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ এ্যামুলেন্সেই তার মৃত্যু হয়।
ফয়সলের মৃত্যু ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে খুনী এবং তাদের দোষররা ঘর-বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যায়। গতকাল সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে নিহত ফয়সলের ক্ষুব্ধ স্বজন এবং এলাকাবাসী জড়ো হয়ে খুনী যুবলীগ কর্মী মনা মিয়ার বসতঘর ভাংচুর, তার সহযোগী আবু তাহের, খুনের মদদদাতা সন্দেহে স্থানীয় মনির আহমদ এবং যুবলীগ নেতা সরোয়ারের বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়। দুপুর দেড়টা নাগাদ খুনের মদদদাতা স্থানীয় নুরু সওদাগরের পাকা বাড়ী ও তৎসংলগ্ন ৫টি সেমি পাকা দোকান এবং ১টি চা দোকানে অগ্নিসংযোগ করে। বেলা ৩টা নাগাদ পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আরিফুর রহমান জানান, প্রতিদ্বন্ধি দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির কারণে এ ঘটনার সূত্রপাত জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে এখনও কোন মামলা রেকর্ড হয়নি, তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন