এক সময় অনেক রোগাক্রান্ত নারী-পুরুষ রক্তের অভাবে মারা যেত। জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য রক্ত সংগ্রহ করা ছিল কঠিন ব্যাপার। রক্তের অভাবে অপারেশন রোগীর ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হত দিনের পর দিন। অনেক রোগী মারা যেত রক্তের অভাবে। শহরের মেডিকেলে টাকা দিলে মিলত রক্ত। ব্যাকুল হয়ে যেত রুগীর স্বজনরা। অনেকেই রক্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হত। এখন সে কষ্ট কিংবা দুর্ভোগ নেই বললেই চলে।
সারা দেশে শত শত যুবক রক্ত দান করছেন। বর্তমানে গ্রামের তরুন-তরুনীরা রক্তদান করছেন মুহূর্তের মধ্য। ফেসবুকসহ নানা ধরনের যোগাযোগের মাধ্যমে গ্রামের যুবকরা ছুটে যাচ্ছেন রোগীর কাছে। যেমনটি রাউজানে বিভিন্ন দিবসগুলোতে রক্ত দেয়ার প্রতিযোগিতা চলে। স্থানীয় এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় বিগত ৯-১০ বছরে হাজার হাজার ব্যাগ রক্ত দান করেছেন। উপজেলার প্রতিটি স্থান থেকে ব্লাড দান করার প্রবনতা বেড়েছে। অনেক শিক্ষিত যুবকরা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে রক্ত দান করছেন। তেমনি ডাবুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মাদরাসা ছাত্র তরুণ যুবক মাওলানা তাজ মুহাম্মদ রেজভী ৪বছরে অসুস্ত রোগীদের ৯ বার রক্ত দান করে মানব প্রেমী খ্যাতি অর্জন করেছেন। জানা গেছে ২৪ বছর বয়সের এ তরুণ ৪ বছরে রোগে আক্রান্ত ৯ জন রোগীকে রক্ত প্রদান করেছেন। এছাড়া হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তরসর্তা চান কাজী বাড়ির সাহাব উদ্দিন ২২ বার রক্ত দিয়েছেন। এ তরুণরা রক্ত দিয়ে সমাজে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। রক্ত দেয়াকে মহানুভবতা হিসেবে দেখেন অনেক তরুণরা। পরিকল্পনা রয়েছে এ তরুণদের রক্ত বিহীন কোন রোগী মারা যাতে না যায়।
চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ায় কামিলে অধ্যায়নরত তরুণ তাজ মুহাম্মদ রেজভী বাবা সুজা আকবর মা মোরশেদা খানমের ছেলে। এসব কর্মকান্ডে খুবই খুশি সে। রক্তদাতা তরুণ যুবক তাজ মুহাম্মদ রেজভী জানান, ৯ বার রক্ত প্রদান করে আমার খুবই ভাল লেগেছে। আমি ফেসবুকে স্টেটাস পেয়ে নিজে যোগাযোগ করে এ রক্ত দান করেছি। এলাকার হাজারো যুবকরা এই তরুণদের মত মহৎ কাজে এগিয়ে আসলে সমাজ অবেহেলিত থাকবেনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন