সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

শিরোপার সুবাস পাচ্ছে রাজশাহী

হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে রাজ্জাককে ছুঁলেন এনামুল হক জুনিয়র

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

প্রথম দিনেই বরিশাল বিভাগকে একশর নিচে গুটিয়ে শিরোপা আশা জাগিয়েছিল রাজশাহী বিভাগ। শেষ দিনে এসে তা আরো স্পষ্ট হয়েছে। এজন্য জহুরুল ইসলামের দলের আজ করতে হবে ১০৮ রান, হাতে রয়েছে আট উইকেট। তবে প্রথম স্তর থেকে অবনমন শঙ্কায় পড়েছে টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন খুলনা বিভাগ।

প্রথম ইনিংসে হোঁচট খেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪৬ রান তুলে ঘুরে দাড়ায় বরিশাল। কিন্তু বোলারদের কাছ থেকে তেমন সহযোগিতা পাচ্ছে কই তারা। চতুর্থ ইনিংসে ২৮৩ রানের পুঁজি তো মন্দ না। কিন্তু বরিশালের নির্বিষ বোলিংয়ে সেটাকেই সহজ বানিয়ে ফেলছে রাজশাহী। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৮২। ৬৫ রানে ব্যাট করছেন প্রথম ইনিংসেও আলো ছড়ানো জুনায়েদ সিদ্দিক, ২৫ রানে জহুরুল। দুটি ত্রিশোর্ধো ইনিংসে দারুণ শুরু করে দিয়ে যান মিজানুর রহমান ও সাব্বির হোসেনও। এর আগে ৬ উইকেটে ২৪৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা বরিশালের ইনিংস শেষ হয় আরো ১০০ রান যোগ করে। শেষ দিনে তাদের সব উইকেট যায় ফরহাদ রেজার দখলে।

খুলনাকে প্রথম স্তরে টিকিয়ে রাখতে শেষ দিনে বিশেষ কিছু করতে হবে বোলারদের। বগুড়ায় রংপুর বিভাগের বিপক্ষে হাতে চার উইকেট নিয়ে ২০৪ রানে এগিয়ে তারা। জিয়াউর-মইনুলরা আজ দ্রুত আরো কিছু রান যোগ করতে পারলে বোলারদের জন্য কাজটা সহজ হবে।

৪ উইকেটে ১২৬ রানে দিন শুরু করা রংপুর ৮ উইকেটে ২৪৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ১২ রানে পিছিয়ে থাকলেও খুলনার দ্রুত উইকেট তুলে নেয়ার পরিকল্পনাটা তাদের ঠিক ছিল বলেই মনে হচ্ছিল। ৩৩ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে তার প্রমাণও দেয় তারা। কিন্তু এরপরই তাদের সামনে ১২৩ রানের বাধ তৈরি করেন সৌম্য সরকার (৮৩) ও নুরুল হাসান (৫২)। দ্রুত রান তোলার দিকেও ছিল তাদের নজর। কিন্তু শেষ বিকেলে ১১ রানের ব্যবধানে এই দুজনের সঙ্গে মেহেদি হাসানের উইকেটটিও হারিয়ে ব্যাকফুটে যায় খুলনা। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯২।

ওদিকে কক্সবাজারে দ্বিতীয় স্তর থেকে প্রথম স্তরে উঠে আসার পথেই রয়েছে ঢাকা বিভাগ। প্রথম ইনিংসে সিলেট বিভাগ এখনো ৬ রানে পিছিয়ে, তাদের হাতে রয়েছে ছয় উইকেট। শাহাদাত-মোশাররফরা আজ দ্রুত এই ছয় উইকেট তুলে নিয়ে ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ করে দিতে পারলেই লক্ষ্য পূরণ হবে ঢাকার। ৪ উইকেটে ২৩৬ রানে দিন শুরু করা ঢাকা মাঝের সেশনে গুটিয়ে যাওয়ার আগে প্রথম ইনিংসে করে ৩৪৬ রান। লিড পায় ১০৮ রানের। শেষ উইকেটেই মোশাররফ-শাহাদাত জুটি তোলে মহামূল্যবান ৬৬ রান। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে আব্দুর রাজ্জাকের সাথে যৌথ সর্বোচ্চ ৩৪ বারের মত এনামুল হক জুনিয়র পূর্ণ করেন ৫ উইকেটের কোটা। দিনের প্রথম অভারেই হ্যাটট্রিক করেন এই বলার। জবাবে ২২ রানে ৩ উইকেট হারানো সিলেট ৪ উইকেটে ১০২ রান তুলে দিন শেষ করে। বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা রাজিন সালেহ ব্যাট করছেন ৪০ রানে।

পাশের মাঠে ঢাকা মহানগর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ম্যাচ গড়াচ্ছে ড্রয়ের দিকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯ রানের লিড নিয়েছে মহানগর, হাতে সাত উইকেট। ৩ উইকেটে ১৯৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে করে ৩৪৫। জবাবে ৩ উইকেটে ৯৬ রান তুলে দিন শেষ করে মহানগর।

স ং ক্ষি প্ত স্কো র (৩য় দিন)
বরিশাল-রাজশাহী, রাজশাহী (১ম স্তর)
বরিশাল : ৯৭ ও ১০৫.৩ ওভারে ৩৪৬ (আগের দিন ২৪৬/৬) (সামছুল ৫৬, তানভির ৩২, রাব্বি ১৫; মোহোর ৩/৯৪, রেজা ৪/৫৯)।
রাজশাহী ১ম ইনিংস : ১৬০ ও ৫১ ওভারে ১৮২/২ (মিজানুর ৩০, সাব্বির ৪৯, জুনায়েদ ৬৫*, জহুরুল ২৫*; সোহাগ ১/৪৫, তানভির ১/৩৫)।

খুলনা-রংপুর, বগুড়া (১ম স্তর)
খুলনা : ২৬১ ও ৪৩ ওভারে ১৯২/৬ (সৌম্য ৮৩, নুরুল ৫২, জিয়াউর ১৭*, মইনুল ৬*; রবিউল ২/১, মহিদুল ২/৩৮)।
রংপুর ১ম ইনিংস : ৯৫.২ ওভারে ২৪৯/৮ ডিক্লে.(আগের দিন ১২৬/৪) (শুভ ৪৮, তানবির ২৮, ধীমান ৫০*, সাজেদুল ২৯; রাজ্জাক ৪/৬২)।
ঢাকা মহানগর-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার (২য় স্তর)
ঢাকা মহানগর : ৩২৮ ও ৩০ ওভারে ৯৬/৩ (আজমির ২০, সামছুর ৩৭*, আশরাফুল ৭*; ইফরান ১/২৩, নাঈম ১/২০, সাখাওয়াত ১/৩৭)।
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস : ১১৩.২ ওভারে ৩৪৫ (আগের দিন ১৯৬/৩) (সাদিকুর ১০১, ইয়াসির ৬৪, নাঈম ৪৩*; হায়দার ৪/৯৭, অনিক ৩/৬৪)।
ঢাকা-সিলেট, কক্সবাজার (২য় স্তর)
সিলেট : ২৩৮ ও ৪৯ ওভারে ১০২/৪ (রাজিন ৪০*, কাপালি ৩৯, এনামুল জুনি. ২*; শাহাদাত ২/১৯, শুভাগত ১/২৬)।
ঢাকা ১ম ইনিংস : ১১৪.৫ ওভারে ৩৪৬ (আগের দিন ২৩৬/৪) (মাজিদ ১০৪, নাদিফ ২৮,মোশাররফ ৫০, শাহাদাত ৩৪; এনামুল জুনি. ৫/৮৭, এবাদত ২/৫৯)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন