ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার স্টেশনের একটি ইউনিট চালু করা সম্ভব হলেও অন্য দুটি বন্ধ ছিল। দূর্ঘটনার ঘন্টাখানেক পরে পশ্চিম জোনের সবগুলো ২৩০ কেভি ও ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন সচল করে জাতীয় গ্রীডে সংযূক্ত করা সম্ভব হয়। বরিশালের সামিট পাওয়ারের ১১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ইউনিটগুলো দুপুর দেড়টার দিকে চালু করে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সঞ্চালন ও বিতরন ব্যবস্থায় কিছুটা ভারসাম্য আনতে সক্ষম হয়।
গতকাল দুপুর ১১ টা ৪৩ মিনিটে আকষ্মিকভাবেই ভেড়ামাড়ায় গ্রীড সাব-স্টেশনে একটি সিটিতে বিস্ফোরনের ফলে পশ্চিম জোনে জাতীয় গ্রীডের পুরো বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা ট্রিপ করে। ফলে সবগুলো উৎপাদন ইউনিটও বন্ধ হয়ে যায়। পিজিসিবি’র খুলনার আঞ্চলিক লোড ডেসপাস সেন্টার ছাড়াও ফরিদপুর, বরিশাল ও মোংলাসহ সবগুলো গ্রীড সাব-স্টেশনের প্রকৌশলীগন ‘অপারেশন ব্লাক আউট’ পদ্ধতিতে বিপর্যয় মোকাবেলায় তৎপর হন। ঘন্টাখানেকের মধ্যে পুরো সঞ্চালন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করে দুপুর ১২ টা ৫৬ মিনিটে জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ এনে স্টেশন লোড দেয়্ সম্ভব হয়। পরে সীমিত পরিসরে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করার পাশাপাশি ক্রমান্বয়ে উৎপাদন ইউনিটগুলোও চালু করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।
পিজিসিবি এবং ওজোপাডিকো’র দায়িত্বশীল সূত্রগুলো অতি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কথা জানিয়েছেন। বরিশাল মহানগরীসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলও এ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কবলে পড়ে। এ অঞ্চলের সর্ববৃহত চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও জরুরী অস্ত্রপচার ব্যাহত হয়। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে স্বাভাবিক হলেও নগরীর হাতেম আলী কলেজ ফিডারসহ কয়েকটি ফিডারের ১১ কেভি লাইনে গোলযোগের কারনে বার বারই সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন