লাগাতার তাপপ্রবাহের পর গত বুধবার রাতে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া আর বজ্রপাতের মধ্যে মাঝারি বর্ষণে বরিশালের জনজীবন কিছুটা শিক্ত হলেও রাতভর বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে। হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে ঝড়ের কবলে পরে শতাধিক নৌযান। প্রায় পনের দিন পরে এ বৃষ্টি বহু কাঙ্খিত হলেও রাতভর বিদ্যুৎ না থাকায় দুর্ভোগের শেষ ছিলনা। রাত ১২টার পরে বরিশাল গ্রীড সাব-স্টেশনে ১৩২ কেভি ইনকামিং লাইন ট্রিপ করে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুতের বিপর্যয় গতকাল দিনভরও অব্যাহত ছিল কয়েকেটি এলাকায়।
প্রায় ২৫ মিনিট স্থায়ী ঘূর্ণি বাতাসে ধুলায় দিগন্ত ঢেকে যায়। সড়ক মহাড়কগুলোতে যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হয়। ধুলি ঝড়ের পরে মেঘের গর্জনের সাথে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি নেমে এলেও ঘুটঘুটে অন্ধকারে অস্বস্তি দেখা দেয়। বর্ষণ প্রায় ঘন্টাখানেক স্থায়ী হলেও মেঘের গর্জন ছিল রাতভরই। গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ রাতে কয়েক দফার বর্ষণের সাথে বিকট গর্জনের বজ্রপাতে জন জীবনে আতঙ্কও ছড়ায়। আবহাওয়া বিভাগ থেকে দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকার কথা বলা হয়েছে।
রাতে নগরীর কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পূণর্বহাল হলেও হাতেম আলী কলেজ ফিডার ও কালিজিরা ফিডারে কয়েক লাখ মানুষকে অন্ধকারেই সাহরী গ্রহণসহ ফজরের নামাজ আদায় করতে হয়েছে। হাতেম আলী কলেজ ফিডারের সাথে সংযুক্ত সিটি করপোরেশনের ৩টি পানির পাম্পে রাতভরই বিদ্যুৎ না থাকায় গতকাল সকাল থেকে পানি সরবরাহও চরম বিপর্যয়ের কবলে পরে। লাইনের ত্রুটি দুর করে হাতেম আলী কলেজ ফিডারটিতে গতকাল সকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা সম্ভব হলেও বিভিন্ন এলাকায় ট্রান্সফর্মার ফিউজ পুড়ে যাওয়ায় কয়েক দফায় লাইন বন্ধ করে সেসব ত্রুটি দূর করতে হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন