শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণ চাই

| প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

রোগে-শোকে মানুষ ওষুধ খায় সুস্থ হওয়ার আশায়। কিন্তু নিম্নমানের দ্রব্য ও ভেজাল সংমিশ্রণের ফলে সেই ওষুধই মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। ভালোমানের ওষুধ উৎপাদনে বাংলাদেশের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। বর্তমানে বিশ্বের ১২২টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রফতানি হচ্ছে। বিদেশে ভালোমানের ওষুধ রফতানি হলেও নিজ দেশে চলছে ভেজাল ওষুধের রমরমা ব্যবসা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থেকে পুরো ওষুধ শিল্পটাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। অল্প পরিশ্রমেই অধিক মুনাফা অর্জন হয় বলে এই অসাধু চক্রের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। আর বাজারেও ঢুকে পড়ছে বিপুল পরিমাণে ভেজাল ও নকল ওষুধ। এই প্রাণঘাতী ভেজাল ও নকল ওষুধের ফলে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রোগী এবং ভোক্তারা, অপরদিকে খুব অল্পতেই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছে এই অসাধু চক্রগুলো। প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ ও নিয়মিত অভিযানের অভাবে এই অসাধু চক্রগুলো ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে সবসময়। মনকাড়া ডিজাইন ও দৃষ্টিনন্দন মোড়কে করে এসব ওষুধ দেখে খুব সহজেই প্রতারিত হয় ভোক্তারা। এভাবে নকল-ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বাজারে বিক্রি হতে থাকলে নকলের ভিড়ে আসলটাই হয়তো হারিয়ে যেতে বসবে। ‘জাতীয় ওষুধনীতি-২০১৬’ অনুযায়ী ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কর্তৃপক্ষ (এনআরএ) গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্ত্রিসভায়, যার দ্রুত বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিয়মিত তত্ত্বাবধান ও অসাধু চক্রগুলোকে আইনের আওতায় আনার পরই হয়তো আমরা একটি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য ওষুধ শিল্পের আশা করতে পারি। পরিশেষে, ভেজাল ও নকল ওষুধ সেবনে আর যেন কোনো জীবন না ঝরে, আর যেন কোনো ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে তাগিদে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি নজরদারি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জাহিদ হাসান
শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন