তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপির গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের তালিকা ইসিতে দিয়েছে বিএনপি। তাদের তালিকা অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে ৭৭৩ জন । এর আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইসির কাছে এদের তালিকা দিয়েছিল। আগে ১৬ নভেম্বর সিইসির কাছের ৪৭২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের তালিকা জমা দেয় বিএনপি।
রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে এই তালিকা জমা দেয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।
ইসির কাছে অভিযোগ করে বিএনপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রæতি রক্ষা এখন পর্যন্ত তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, মামলা ও হয়রানি অব্যাহত আছে।
সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে আইন-শঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেও অভিযোগ করে দলটি।
মৃত, অসুস্থ, হজ পালনরত, বিদেশে অবস্থান করা ব্যক্তিদের মামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা এবং গ্রেফতারের তালিকা দেয়ার জন্য জানান সরকার প্রধান। সেই আলোকে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরাবর ৭ নভেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৪৬টি মামলার তালিকা দেয় বিএনপি। দলটি পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ২টি মামলার নম্বর, ধারাসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ১৩ নভেম্বর।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী, দুই দফায় মামলার তালিকা জমা দেওয়ার মামলাগুলো প্রত্যাহার ও গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কি না, তা এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি বলেও চিঠিতে উল্লেখ করে বিএনপি।
চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, মামলাগুলো প্রত্যাহার এবং গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদেরকে অব্যাহতি না দেওয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। গত ৮ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৭৭৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর তালিকা গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন বরাবর দেওয় হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে হলেও কমিশনের নির্দেশ উপেক্ষা করে ধারাবাহিকভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর দফতারে দেয়া তালিকা আপনার (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) বরাবর দেয়া হলো।’
তফসিল ঘোষণার পরও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ উপেক্ষা করে উল্লিখিত গায়েবি মামলার আসামিদের বাড়িতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হুমকি ও গ্রেফতার অব্যাহত আছে। অবিলম্বে নেতাকর্মীদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতিসহ গ্রেফতার বন্ধের জন্য আপনার (সিইসি) কাছে আবারও অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত পুনঃনির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন