সারাদেশে বিএনপির সিনিয়র আইনজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা গায়েবি মামলা নিয়ে করা রিট শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। গতকাল সোমবার রিটকারীদের পক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে সময় আবেদন করেন রিটকারীদের অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ. কে. এম. আমিন উদ্দিন। পরে তিনি বলেন, কার্যতালিকায় মামলাটি শুনানির জন্য ছিল। রিটকারীদের পক্ষে ড. কামাল হোসেন শুনানি করবেন এ গ্রাউন্ডে অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা দুই সপ্তাহের সময় প্রার্থনা করলে আদালত তা মঞ্জুর করে ২০ নভেম্বর ২টার সময় শুনানির জন্য ধার্য করেন।
এর আগে গত গত ৯ অক্টোবর এ রিটের ওপর দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টে একটি দ্বৈতবেঞ্চ। ওই বেঞ্চের সিরিয়র বিচারপতি এ বিষয়ে অন্তর্বতীকালীন আদেশসহ রুল জারি করলেও অপর বিচারপতি রিট খারিজ করে আদেশ দেন। এরপর নিয়ম অনুসারে রিটটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। পরে মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের একক বেঞ্চে নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি। ওই দিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ড. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম
গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খন্দকার মাহবুব হোসেন, আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী ও সানাউল্লা মিয়া এ রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (নর্থ জোন), রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, রমনা ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট দায়েরের পর খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে ঢালাওভাবে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী দলকে চাপে রেখে বিরোধী নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করা। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের মামলা সঠিক হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা করে যেন হয়রানি না করা হয় তার নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। যারা এ ধরনের মামলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন