বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘গায়েবি মামলা’থেকে বিরত থাকুন

পুলিশের প্রতি টিআইবির আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:৪৫ এএম

সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে গায়েবি মামলায় ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত, বিদেশে অবস্থানরত এমনকি মৃত ব্যক্তিদের পুলিশ কর্তৃক আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রবণতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে এ জাতীয় দৃষ্টান্ত পুলিশের অদক্ষতা ও দায়িত্বে অবহেলার পরিচায়ক উল্লেখ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এরূপ আত্মঘাতী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন স্থানে গায়েবি মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে আসামি হিসেবে ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত, বিদেশে অবস্থানরত এমনকি মৃত ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে পুলিশের একাংশের এহেন কর্মকান্ড পেশাদারিত্বের উদ্বেগজনক অবক্ষয়ের দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, সরকার তথা ক্ষমতাসীন দলের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নির্দেশনা বা চাপের ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাংশের দলীয় প্রভাবে প্রভাবান্বিত হওয়ার দৃষ্টান্ত নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ তথা অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা অনেকাংশে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ বাহিনীর একাংশ কর্তৃক ঢালাও ভাবে ঘটনার সাথে কোনো ভাবে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ নেই এমন ব্যক্তিবর্গকে মামলায় জড়ানোর দায় শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রভাবের ওপর দেয়া যাবে না।
রাজনৈতিক প্রভাবিত হয়ে পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠান পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হলেও কি কারণে মৃত ও দেশে বা ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে তা দেশবাসীর কাছে ব্যাখ্যা করার দায় পুলিশ কর্তৃপক্ষের। প্রশ্ন উঠতেই পারে এটি কি পুলিশের একাংশের একান্তই অদক্ষতা না নগ্ন দায়িত্বহীনতা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর রাজনৈতিক প্রভাব একদিকে আইনের শাসনের পথে অন্যতম প্রতিবন্ধক অন্যদিকে পুলিশ বাহিনীতে এ ধরনের পেশাগত দুর্বলতা ও অদক্ষতা অব্যাহত থাকলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থা সম্পূর্ণ ধ্বসে পড়বে বিধায় আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। বিবৃতিতে টিআইবি রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে আহ্বান জানায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানকে সকল প্রকার প্রভাব মুক্ত করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। একইসাথে পুলিশ বাহিনীকেও সকল প্রকার প্রভাবমুক্ত হয়ে দায়িত্ব পালনে দৃঢ়তা ও সৎসাহসের পাশাপাশি জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সংস্থার অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবীক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে এ জাতীয় আত্মঘাতী প্রবণতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
সুলতান ১৮ অক্টোবর, ২০১৮, ৫:০৯ এএম says : 0
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে পুলিশের একাংশের এহেন কর্মকান্ড পেশাদারিত্বের উদ্বেগজনক অবক্ষয়ের দৃষ্টান্ত।
Total Reply(0)
মোঃ এমদাদউল্লাহ ১৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:৩৭ এএম says : 0
আচ্ছা একটা জিনিস আমার মাথায় কাজ করছে না।সেটা হল যারা দেশের রক্ষক তারা যদি ভুল করে তাদের বিচার কঠিন হয় না।জনসাধারণের বিচার মারাত্মক ভাবেই হচ্ছে এর কারন কি।যেমন যারা নিশিদ্দ্ব ইয়াবা বিক্রি করে তাদের কে ক্রসফায়ার করে মারা হয়।আবার যারা মারে তারাও ইয়াবা সহ হাতে নাতে ধরা খায়।আমার প্রশ্ন হল তাদের কে কেন ক্রসফায়ার করা হয় না।এক দেশে দুই আইন কেন হচ্ছে।এরা যদি এমন মারাত্মক ভুল করে সাময়িক বরখাস্ত হয় অথবা অন্য ডিসটিকে ট্রান্সফার হয় এটাই কি তাদের বিচার।যদি এমন হয় তাহলে সাধারণ যারা বিক্রি করে ওরাও ত কমপক্ষে আইনের আওতায় এসে বিচার পাওয়ায় যোগ্য তার পর না হয় মেরে ফেলা হোক।যাই হক আমার কথায় কেও রাগ করবেন না।কারন প্রতিদিন পত্রিকা খুল্লেই দেখি পুলিশের কনস্টেবল এত হাজার ইয়াবা সহ র‍্যাবের হাতে ধরা খেয়েছে এ গুলো দেখলে আফসোস হয়।কারন এরা ত দেশ রক্ষার জন্য জনগণের টাকায় পরিচালিত।ওরা অন্তত এ জিনিস মাথায় রেখে চলার দরকার।যাই হক আল্লাহ সবাইকে ভাল হয়ে যাওয়ার তাওফিক দিন আমিন।
Total Reply(0)
মুহাম্মদ ১৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১:৫৪ পিএম says : 0
পুলিশ শব্দ টা জাতির কাছে এক আতঙ্ক। যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে পুলিশ প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই সরকারের গোলাম হয়ে যায়। কিন্তু কথা ছিল এই দেশ জনগণের দেশের জনগণের সেবা করবে। পুলিশ যদি তার নিজস্ব গতিতে চলতো তাহলে জাতি সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতো
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন