সংলাপের আহবান দেশের সংঘাতমুখর রাজনীতিতে ইতিবাচক মনে করা হলেও সারা দেশে গায়েবি মামলায় জেলে যাচ্ছেন এবং পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপি জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী। কোন কারণ ছাড়াই একের পর এক মামলা হচ্ছে। গত দু’দিনে কক্সবাজারের চারটি থানায় এভাবে গায়েবি মামলায় আসামি করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে। গ্রেফতার করা হয়েছে ডজন খানেক বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মী। বিশেষ ক্ষমতা আইনে এসব মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে কক্সবাজারে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিরোধী জোটের শত শত নেতাকর্মী।
২৮ অক্টোবর কক্সবাজার শহরে গাড়ি ভাঙচুরের একটি কাল্পনিক ঘটনা দেখিয়ে বিএনপি জামায়াতের ১৪৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে আসামি করা হয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাদুর, সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি সম্পাদক ও সাবেক সভাপতিকে। ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও মামলায় আরো ১৩০ জন অজ্ঞাত বলে উল্লেখ করা হয়। মঙ্গলবারে রামুতে কথিত ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ৫৬ জনের বিরেিদ্ধ মামলা করা হয়েছে রামু থানায়। এতে এজহারে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও আরো ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এই মামলা দায়ের করা হয়।
গতকাল বুধবার একই কায়দায় কোন কারণ ছাড়াই সাড়ে তিন শত জনকে আসামি করে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে উখিয়া থানায়। এতে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও বাকি সংখক অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। বিএনপি জামায়াতের সিনিয়ার নেতাদের নাম অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। একইভাবে মহেশখালীতেও মামলা রেকর্ড হচ্ছে বলে জানা গেছে। গায়েবি মামলা যেন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জন্য ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’। এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, সরকার বিরোধী দলকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার জন্য এসব গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে বির্তকিত করছে। তিনি এসব মামলা রের্কড করে বিতর্কিত না হওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি আহবান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন