সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:৩৫ পিএম

প্রখ্যাত কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র ও নাট্য পরিচালক এবং অভিনেতা আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। তার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তার বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বাবার শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এম্বুলেন্সে করে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। তবে রাষ্ট্র চাইলে এটা সম্ভব। আর সেটাও দ্রুত করতে হবে।
গত রোববার সকালে বাসায় আমজাদ হোসেনের স্ট্রোক হয়। এরপর তাকে দ্রুত রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসক শহীদুল্লাহ সবুজের তত্ত্বাবধানে লাইফ সাপোর্টে আছেন।
গতকাল সোমবার বিকেলে প্রখ্যাত এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে তার বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, চিকিৎসকরা ধারণা করেছিলেন ব্রেনের অল্প জায়গা জুড়ে স্ট্রোক হয়েছে। কিন্তু দুইবার সিটি স্ক্যান করার পর জানা গেল যে ব্রেনের অনেক বড় জায়গা জুড়ে স্ট্রোক হয়েছে এবং সেখানে রক্ত চলাচল বন্ধ আছে। তিনি বলেন, বাবার শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে কী ধরনের চিকিৎসা তাকে দেওয়াা হবে তা ঠিক করতেই এখন কাজ করছে মেডিকেল বোর্ড।
আমজাদ হোসেনের জন্ম ১৯৪২ সালের ১৪ই আগস্ট, জামালপুরে। শৈশব থেকেই তার সাহিত্য চর্চা শুরু। পঞ্চাশের দশকে ঢাকায় এসে সাহিত্য ও নাট্যচর্চার সঙ্গে জড়িত হন। মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি অভিনয় শুরু করেন। এর পরপরই অভিনয় করেন মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে। তবে এর পরের ইতিহাসটা একেবারেই অন্যরকম। পরিচালক সালাহউদ্দিন আমজাদ হোসেনের লেখা নাটক ‘ধারাপাত’ নিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এতে আমজাদ হোসেন নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। এরপর আমজাদ হোসেন জহির রায়হানের ইউনিটে কাজ শুরু করেন। এভাবেই দীর্ঘদিন কাজ করতে করতে ১৯৬৭ সালে তিনি নিজেই ‘জুলেখা’ নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এরপর নূরুল হক বাচ্চুর সঙ্গে যৌথভাবে নির্মাণ করেন ‘দুই ভাই’। তার পরিচালিত ব্যাপক দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে বাল্যবন্ধু, পিতাপুত্র, এই নিয়ে পৃথিবী, বাংলার মুখ, নয়নমনি, গোলাপী এখন ট্রেনে, সুন্দরী, কসাই, জন্ম থেকে জ্বলছি, দুই পয়সার আলতা, সখিনার যুদ্ধ, ভাত দে, হীরামতি, প্রাণের মানুষ,সুন্দরী বধূ, কাল সকালে, গোলাপী এখন ঢাকায়, গোলাপী এখন বিলেতে ইত্যাদি। গুণী এই পরিচালক ১৯৭৮ সালে গোলাপী এখন ট্রেনে এবং ১৯৮৪ সালে ভাত দে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন