শরীয়ত আর তরিক্বত শিক্ষার যুগপৎ সমন্বয়ে একজন মানুষ সত্যিকারের আলোকিত মানুষে পরিণত হয়। শরীয়তের শিক্ষার সাথে সাথে তরিক্বতের শিক্ষা গ্রহণ না করলে শিক্ষা কখনো পরিপূর্ণ হয় না।
জাহেরী শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কাগতিয়া মাদরাসা। আর এ মাদরাসার বাণী-এ-লাসানী হযরত শুধু তরিক্বতের শিক্ষা দিতেন না বরং তিনি একটি বিশ^বিখ্যাত তরিক্বতের প্রবর্তক। তাই একজন শিক্ষার্থী কাগতিয়া কামিল মাদরাসায় আসার সাথে সাথে বাহ্যিক পূর্ণতা ও অভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধি বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। এ মাদরাসার গোড়াপত্তন হয়েছিল নবী প্রেমিকদের হাতে বর্তমানেও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত শনিবার চট্টগ্রাম কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম. এ. মাদরাসার ৮৭ তম এনামী জলসায় অতিথিবৃন্দ এ কথা বলেন।
অতিথিরা আরও বলেন, কাগতিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মহোদয়ের সুনিবিড় তত্ত¡াবধান, আন্তরিক আগ্রহ, সুনিপুণ প্রচেষ্টা, দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রমে এ মাদরাসার খ্যাতি বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে বর্হিবিশ্বেও সমাদৃত।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব আল্লামা প্রিন্সিপাল শাব্বির আহমদ মোমতাজীর সভাপতিত্বে এনামী জলসার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এ,কে,এম ছায়েফ উল্যা। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর মো. আবুল হাসান, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, চবি গণিত বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. জালাল আহমদ প্রমুখ।
বক্তব্য রাখেন মুহাদ্দিস আল্লামা মুহাম্মদ ইব্রাহিম হানফী, মুফতি কাজী আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকি, মুহাদ্দিস আল্লামা আশেকুর রহমান, আল্লামা সেকান্দর আলী প্রমুখ।
এদিকে ৮৭তম সালানা জলসা উপলক্ষে অর্ধকিলোমিটার জুড়ে সাজ সাজ রব বিরাজ করছিল। সভা উপলক্ষে মাদরাসা ভবনকে সাজানো হয়েছে। মাহফিলে বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামের বয়ান শুনে অনেকে নিজের আবেগকে ধরে রাখতে পারেননি। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে কাগতিয়া মাদরাসাসহ আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। মিলাদ মাহফিল শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন