বিয়ানীবাজারে প্রতিপক্ষের আঘাতে গুরুতর আহত বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী হোসাইন আহমদ মারা গেছেন। সিলেটের একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বুধবার সকাল ৯টার দিকে সে মারা যায়। নিহত কলেজ শিক্ষার্থী হোসাইন আহমদ (১৮) পৌর এলাকার মধ্য নিদনপুর গ্রামের ছমির উদ্দিনের পুত্র। হোসাইনকে হামলা করে গুরুতর আহত করার পর থেকেই পলাতক রয়েছে একই এলাকার মুহিব আলীর পুত্র ঘাতক সুমন আহমদ (১৬)। হোসাইন আহত হওয়ার পরদিন গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিহত হোসাইনের মা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। তবে মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য হবে।
জানা যায়, সোমবার বিকাল ৩টার দিকে বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার নিদনপুর সরকারি বিদ্যালয়ের সামনে একটি ছোট বাচ্ছাকে একই এলাকার মুহিব আলীর ১০ম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছেলে সুমন মারধোর করছিলো। এতে বাধা দেয় কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে ফেরা হোসেন আহমদ। তখন দুইজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপর সেখান থেকে দু॥'জন দুই দিকে চলে গেলেও নিদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আসা মাত্র হোসাইনের মাথায় লাঠি দিয়ে স্বজোরে আঘাত করে সুমন। আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে হোসাইন।
এসময় স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় হোসাইনকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে সিলেট প্রেরণ করা হয়। সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে দু॥'দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর আজ বুধবার মৃত্যুবরণ করে হোসাইন। হোসাইনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ঘাতক সুমন।
নিহত হোসাইনের বড়ভাই হাসান আহাজারি করে বলেন, আমার ভাই শহীদ হয়েছে। আমার ভাইকে যে খুন করেছে, আমি তার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন, হোসাইন আহত হওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার তার মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিলে। মামলা দায়েরের পর থেকে আমরা আসামীকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন