পুলিশের তাড়ার পর পানবরজে লাশ মিললো মাহাতাব উদ্দীন (৬০) নামে এক বিএনপি নেতার। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা গ্রামে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গ্রামের একটি পানবরজ থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তাহেরহুদা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি চির কুমার মাহাতাব উদ্দীন ওই গ্রামের শমসের মন্ডলের ছেলে। স্থানীয় ইউপি মেম্বর সাব্বির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ তাহেরহুদা বাজারে অভিযান চালায়। পুলিশ দেখে মাহাতাব পালিয়ে যান। শুক্রবার সকালে সাবেক ইউপি মেম্বর শহিদুল ইসলামের পানবরজে মাহাতাবের লাশ পাওয়া যায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাহাতাবের মৃত্যু হতে পারে বলে ইউপি মেম্বর সাব্বির মনে করেন। হরিণাকুন্ডু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাইজাল হোসেন জানান, আমি শুনেছি বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হরিণাকুন্ডু থানার এসআই জগদীশ, এসআই আব্দুল জলিল, এএসআই রামপ্রসাদ ও এএসআই নাসিরের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ তাহেরহুদা বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় বিএনপি নেতা মাহাতাব ওই বাজারে আমিন জোয়ারদারের ছেলে শহীদের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাহাতাব পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া লোকটির নাম না বলায় পুলিশ শহিদকে এ সময় মারধরও করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন। এএসআই নাসির বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দীনকে ধরতে দাবড় দেয়। পুলিশের তাড়া খেয়ে মাহাতাব উদ্দীন একটি পান বরজে ঢুকে পড়ে। অভিযানের কথা স্বীকার করে হরিণাকুন্ডু থানার এএসআই নাসির জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আমি ও এএসআই রামপ্রসাদ সাদা পোশাকে মটরসাইকেল যোগে তাহেরহুদা বাজারে যায়। এসআই জগদীশ ও এসআই আব্দুল জলিল স্যার এ সময় পোশাক পরিহিত ছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর কে কোথায় দৌড় মারে তা আমার জানা নেই। বিএনপি নেতা মাহাতাবকে গ্রেফতার করতে আমি তাড়াও করিনি বলে তিনি স্বীকার করেন। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, লোকটির বয়স ৬০ বছর হবে। পানবরজে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ নির্নয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের তাড়া সম্পর্কে ওসি বলেন, নির্বাচন সামনে করে পুলিশ আইনশৃংখলা ঠিক রাখাসহ তাদের কর্মকান্ডের অংশ হিসেবেই অভিযান চালাবে। তাকে তো পুলিশ ধরতে বা খুজতে যায়। তিনি পালাবেন কেন ?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন