রাজশাহীর এক যুবক তিন বন্ধুর সঙ্গে কাজের সন্ধানে চলে যাচ্ছিলেন ভারতে। এ সময় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে ধরা পড়ার পর নির্যাতনের কারণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অন্য তিনজন পালিয়ে এসেছেন।
নিহত যুবকের নাম আবদুর রহিম মাসুদ (১৮)। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের দিয়াড় মানিকচক কামারপাড়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। বাবার নাম বাবলু রহমান। গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজশাহীর মাজারদিয়াড় সীমান্ত থেকে ওই যুবককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিনই সীমান্তে নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয় বলে দাবি পরিবারের।
মাসুদের বাবা বাবলু রহমান বলেন, ‘১৭ সেপ্টেম্বর বাড়িতে ৫০০ টাকা চেয়েছিল মাসুদ। তখন তাঁর মা পরে দিতে চেয়েছিল। এতেই সে অভিমান করে কাউকে কিছু না জানিয়ে আরও তিনজনের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। রাজশাহীর মাজারদিয়াড় সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে ঢুকছিল কাজের সন্ধানে। তখন বিএসএফ ধাওয়া দিলে অন্য তিনজন পালিয়ে আসে, মাসুদ ধরা পড়ে।’
বাবলু আরও জানান, ভারতে তাঁদের আত্মীয় আছে। আত্মীয়ের মাধ্যমে ২০ সেপ্টেম্বর খবর পান সীমান্তে ভারতের মধ্যে মাসুদের মরদেহ পড়ে আছে। এ সময় ওই আত্মীয় বাবলুর সঙ্গে ভারতের এক পুলিশ কর্মকর্তার কথা বলিয়ে দেন। হোয়াটসঅ্যাপে ছবি বিনিময় করে মাসুদের পরিচয়ও নিশ্চিত হন। কিন্তু মরদেহটি ফেরত না দিয়ে রানীনগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার পর্যন্ত মরদেহ দেওয়া হয়নি।
বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) জানিয়েছেন বাবলু। বিএসএফের সঙ্গে কথা বলে বিজিবি মরদেহ ফেরত আনারও চেষ্টা করেছে। কিন্তু বিএসএফ মরদেহের কথা স্বীকার করেনি। তিনি এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামও মাসুদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু এখনো লাশ ফেরত পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিজিবির রাজশাহী-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। তবে বিজিবির রাজশাহীর চর মাজারদিয়া সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার শামসুল হক বলেছেন, সীমান্তে এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা তাঁদের জানা নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন