ফেনীতে নির্বাচনে বড় কোন সহিংসতার ঘটনা না ঘটলেও জনমনে ভয়, শঙ্কা ও হতাশা কাটেনি। এখনো রাস্তাঘাটে যানচলাচল তেমন নেই। সাধারণ মানুষ একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাসা বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। শহরে মানুষের তেমন কোলাহল নেই। প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করে বাসা বাড়ির দিকে ছুটছেন অনেকেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও স্থাপনা এবং জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বন্দুক উঁচিয়ে টহলরত রয়েছে। ফেনীর ৩টি সংসদীয় আসনে জয় পেয়েছেন মহাজোট প্রার্থীরা।
অপরদিকে বিএনপির প্রার্থীরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। ফলে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার সম্ভাবনায় সাধারণ মানুষ বাইরে আসতে চাইছে না। অঘোষিত হলেও গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বিভিন্ন বিপনি বিতান, স্কুল-কলেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ করে জনমনে শঙ্কা কাটতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। সাধারণ মানুষ নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। নির্বাচনে জয় পরাজয়ে তাদের কোন আগ্রহ নেই।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশের খোঁজে থাকে কর্মজীবী ও পেশাজীবীরা। বিশেষ করে ব্যবসায়ী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা সুন্দর এবং নিরাপদ পরিবেশ চায়। এদিকে ফেনী বড় বাজারের নিত্যকার কোলাহলে ভাটা পড়েছে। সাধারণ মানুষ এখনো আশ্বস্ত হতে পারছে না। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো কয়েকদিন লাগতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ফেনীর হোটেল ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন। আইটি ব্যবসায়ী সুমন বলেন, শহরে লোকজন না আসায় ব্যবসা বাণিজ্য নেই। তাই বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
ফেনী জেলা পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, জেলায় নির্বাচনে কোন উল্লেখযোগ্য সহিংসতা হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন