বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের হুকুমদাতা রুহুল আমিন মেম্বারসহ আরো দুইজন গ্রেফতার

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:৫৬ এএম

স্বামী সন্তানদের বেঁধে রেখে নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের চরবাগ্যা গ্রামে গৃহবধূ (৩২) কে গণধর্ষনের ঘটনার মূল হুকুমদাতা রুহুল আমিন মেম্বার ও মামলার ৫নং আসামী বেচুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় মামলার প্রধান আসামীসহ এপর্যন্ত ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হল।

বুধবার গভীর রাতে নোয়াখালী সদর ও সেনবাগ উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত রুহুল আমিন মেম্বার সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও বেচু ব্যাগা গ্রামের আবু কাশেমের ছেলে।

চরজব্বার থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন জানান, রাতে পুলিশের ২টি দল সদর উপজেলার উত্তর ওয়াপদার একটি বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে রুহুল আমিন মেম্বার ও সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারে ৫নং আসামী বেচু’কে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।

সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. ওমর ফারুক বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বার যদি অপরাধী হয় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আমরা দ্রুত সাংগঠনিক মিটিংয়ে বসে ও দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ অনুযায়ি যদি তার অপরাধ প্রমাণিত হয় তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে।

উল্লেখ্য, ভোট কেন্দ্রে তর্কবিতর্কের জের ধরে ৩০ ডিসেম্বর (রবিবার) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ভিকটিমের ঘওে প্রবেশ করে স্থানীয় সন্ত্রাসী সহেল, স্বপন, চৌধুরী, বেচু’সহ ১০জন। এসময় তারা ঘরে ভাঙচুর করে ভিকটিমের স্বামী সিরাজ উদ্দিনকে মারধর ও ৪ সন্তানকে বেধে রেখে (ভিকটিম) কে উঠানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করে। পরে এই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী সিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে মামলায় রুহুল আমিন মেম্বারকে আসামী করা হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
onicchuk ৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:১৭ পিএম says : 0
Tui akta manush rupi soitaner baccha. Tor Maa Boon nai ? Tor Bou nai ? Tor Boon k jodi keo amon kore ? tor Ki rokom Laagbe ? Taratari Manush ho.....
Total Reply(0)
অন্যমানুষ ৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৮ পিএম says : 0
আমি গঠনতন্ত্রের মানষ কন্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী।তাই বলে এই ধরনের নারকিও হিংস্র ও বর্বরোচিত ঘটনা কোন ভাবেই মন থেকে মানতে পারছি নাহ।আজ অনেক মানুষ রুপি জানোয়ার ঢুকে পড়েছে আ: লীগের মধ্যে। যারা তাদের সংঘঠিত হিংস্রাত্বক কর্মকান্ডের মাধ্যমে কলুষিত করছে জননেএীর সংগঠককে।অবিলম্ভবে এই কুসন্তানদেরকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বের করতে হবে। নইলে মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনাকে সামনে রেখে গঠিত সংগঠন আ: লীগ থেকে জনগনের আস্থা উঠে যাবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন