প্রথমেই খেয়াল করতে হবে, কার ত্বক কী ধরনের। সব ত্বকে কিন্তু একই রকম ট্রিটমেন্ট চলবে না। তবে ত্বকের ধরন যে রকমই হোক না কেন, ক্লিনজিং ও ময়শ্চারাইজিং সকলের জন্যই আবশ্যক। দিনে অন্তত দু’বার মুখ খুব ভালোভাবে পরিস্কার করতে হবে। তারপর একটি ভালো কোম্পানীর স্কিন টোনার লাগানো যেতে পারে। এরপর সারা শরীরে ভালোভাবে ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে। এই রুটিন যদি নিয়মিত মেনে চলা যায়, তাহলেই দেখবেন ত্বকের অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়েছে।
শুস্ক ত্বক : শীতকালে অনেকেরই সমস্যা হল শুস্ক ত্বক। পা ফাটা, ঠোঁট ফাঁটা বা ত্বক ফাটার সমস্যায় বেশিরভাগই এই সময় নাজেহাল হয়ে পড়ি আমরা । তবে সঠিক যত্ন নিলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। একটা ঘরোয়া প্যাকের কথা বলছি, আশা করা যায় উপকার পাবেন। তিন চা-চামচ কাটারিভোগ চালের গুঁড়া, এক চা-চামচ মধু ও পরিমাণ মতো দুধের সর ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে সারা শরীরে লাগান। ১০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয়, তা হলে এই প্যাকটির সঙ্গে এক চা-চামচ আমন্ড বাটা মিশিয়ে নিন। আর ত্বকে সাবান একেবারেই ব্যবহার করবেন না। এই প্যাকটি ত্বকে একেবারে আলাদা জেল্লা এনে দেয়। এ ছাড়া, ১ : ৩ পরিমাপে গিøসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে লাগালে ত্বক অনেক মসৃণ হয়ে ওঠে। আর নিয়মিত রাতে ক্রিম লাগাতে ভুলবেন না যেন!
তৈলাক্ত ত্বক : অনেকেই নিজের ত্বকের ধরন না জেনে শীতকালে ত্বক শুষ্ক লাগলেই মুুখে ক্রিম লাগিয়ে ফেলে। সুতরাং অনেক সময় ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। অয়েলি স্কিনে কখনওই ক্রিম লাগাবেন না। বরং এই প্যাকটি লাগালে উপকার পাবেন। তিন চা-চামচ চালের গুঁড়ো, এক চা-চামচ নিমপাতা গুঁড়ো, আধ চা-চামচ চন্দনগুঁড়ো ও পরিমাণ মতো কমলা লেবুর রস ভালো করে মিশিযে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে সাবান একেবারেই ব্যবহার করবেন না। এ ছাড়া, অয়েল-ফ্রি ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। া
সাধারণ ত্বক : যাদের নর্মাল স্কিন, শীতকালে তাদের ত্বক নিয়ে বিশেষ অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। তবে ত্বকের পরিচর্যা করা কিন্তু খুব জরুরী। ত্বক সতেজ রাখতে এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। তিন চা-চামচ চালের গুঁড়ো পরিমাণ মতো দই ও কমলালেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১-৩ পরিমাপে গিøসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। তবে ইই প্যাকটি সন্ধেবেলায় লাগাতে হবে। পরের দিন সকালে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কেশ চর্চা : অনেকেরই এই সময় চুলে খুব খুসকি হয়। সপ্তাহে একদিন সন্ধেবেলা গরম তেল লাগিয়ে মাথায় কিছুক্ষণ তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। পরের দিন চুল পরিমাণমতো টক দই লাগান। ৪৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে কোনও হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, কিছুদিনের মধ্যেই খুসকি উধাও হয়ে যাবে।
এবার একটু খাওয়াদাওয়ার কথায় আসা যাক। শরীর ও ত্বক সতেজ রাখতে গেলে ঠিকঠাক ডায়েট মেনে চলা খুবই জরুরি। শীতকালে নানা ধরনের শাকসবজি পাওয়া যায়, যা নিয়মিতভাবে খেলে উপকার পাবেন। সকালে খালি পেটে টম্যাটো আর গাজরের রস খান। দিনে দু’বার গাজর, বিট, লেটুসপাতা, টম্যাটো, বাঁধাকপি, শসা ইত্যাদি মিলিয়ে স্যালাদ তৈরি করে খান। এ ছাড়া নিয়মিত দুধ, ফল, মাছ, ডিম, মাংস ইত্যাদি খেতে ভুলবেন না যেন।
চিকিৎসক-কলামিস্ট
মোবা : ০১৭১৬২৭০১২০
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন