শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

শব্দদূষণের বিষয়ে সচেতনতা দরকার

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

শব্দ অবাঞ্ছিত নয়, নিঃশব্দ মানুষ নিয়ে সভ্যতার কথা ভাবাও সম্ভব নয়। কিন্তু শব্দ নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্তই মানুষের জন্য প্রযোজ্য। মাত্রার বেশি হলে যা হয় তার নাম শব্দদূষণ। এর কারণে আধুনিক মানবসভ্যতা ধুঁকছে। শহর এলাকায় শব্দের উৎস গাড়ির হর্ন, মাইক, বিমান, কলকারখানা, জেনারেটর, ঘন জনবসতি প্রভৃতি। শব্দদূষণের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শহরের নীরব এলাকা বলে চিহ্নিত স্থানেও শব্দমাত্রা ঠিক থাকে না। হাসপাতাল অধ্যুষিত অঞ্চলকে সাধারণত চিহ্নিত করা হয় সাইলেন্ট জোন হিসেবে। এখন সেসব এলাকায়ও শব্দমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার ব্যবস্থা নেই। ফলে রোগীরা হাসপাতালে এসে সুস্থ হওয়ার বদলে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

স¤প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্র কর্কশ শব্দের ফলে মাতৃগর্ভস্থ শিশু জন্মানোর পর বিকলাঙ্গ, জড় বুদ্ধিসম্পন্ন কিংবা মূক ও বধিরও হতে পারে। কারখানার শ্রমিকদের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনকে নিউরোসিস রোগে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে। এর মূল কারণ হলো একনাগাড়ে তীব্র শব্দযুক্ত পরিবেশে অবস্থান। এই রোগে আক্রান্ত ৪০ শতাংশ শ্রমিক কঠিন মাথার যন্ত্রণায় ভোগে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ বা আইন প্রণয়নের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমে নিয়োজিত ব্যক্তিদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে, বিশেষ করে যারা শিশু, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন। সবার আগে মানুষকে শব্দের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

জাকির আজাদ
হোসেন মঞ্জিল
শাসনগাছা, কুমিল্লা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন