জিয়া নামটির সাথে বাংলাদেশের মানুষের প্রথম পরিচয় ঘটে ১৯৭১ সালে। ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পৈশাচিক আক্রমনের পর এদেশের মানুষ হয়ে পড়েছিল দিশেহারা। কী করবে কেউই যেন বুঝে উঠতে পারছিল না। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বর্বর সৈন্যদের বুটের তলায় আমাদের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে কি না- এ ভাবনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল তারা। ঠিক সে সময়ে যার কণ্ঠ এদেশের কিংকর্তব্যবিমুঢ় মানুষের সংবিৎ ফিরিয়ে এনেছিল তিনি মেজর জিয়া; পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন বাঙালি অফিসার। তাঁর কণ্ঠে ২৭ মার্চ শোনা গেল স্বাধীনতাযুদ্ধের আহ্বান। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার বাণী তিনি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সারা বাংলাদেশে। স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ বাংলাদেশের জনগণ সেদিন সাহস ফিরে পেয়েছিল ওই একটি কণ্ঠের দৃপ্ত উচ্চারণে। তারপরের ইতিহাস সবারই জানা। স্বাধীনতার পর নিষ্ঠাবান সৈনিকের ন্যায় জিয়া চলে গিয়েছিলেন নিজ পেশায়। কিন্তু সময়ের অনিবার্যতাই তাকে নিয়ে এসছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টে দুই মেয়ে ছাড়া সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক হত্যাকান্ড বাংলাদেশকে নিমজ্জিত করে এক অসীম অন্ধকারে। চলতে থাকে নানা কূটকৌশল রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও হাতে রাখার লক্ষ্যে। বঙ্গবন্ধুর এক সময়ের অতি ঘনিষ্ঠজনরাই তাঁর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। খোন্দকার মুশতাক আহমেদের নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়, তাতে যারা যোগ দেন তারাও সবাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও বাকশালের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তবে সে সরকারের আয়ূষ্কাল ছিল মাত্র ৮৭ দিন। সে ইতিহাস সবাই জানেন। তা নিয়ে এখানে কথা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়া দেশবাসীর কাছে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান হিসেবে পরিচিত হন ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর। মূলত ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লব জিয়াউর রহমানকে রাজনীতির দৃশ্যপটে টেনে আনে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁর এ আগমন নিয়ে অনেকের অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে। কেউ কেউ বিষয়টিকে দেখতে পারেন ভিন্ন দৃষ্টিতে। তবে, এটা স্বীকার না করে উপায় নেই যে, জাতির এক কঠিন দুঃসময়ে জিয়াউর রহমান শক্তহাতে হাল ধরেছিলেন। পর্দার অন্তরালে নানা রকম খেলা চলতে থাকার ওই ঘোর অমানিশার রাতে তিনি যেন আলোকবর্তিকা নিয়েই এসেছিলেন।
রাজনীতিতে জিয়াউর রহমানের অভিষেককে তাঁর বিরুদ্ধবাদীরা ক্ষমতালিপ্সা, ষড়যন্ত্র ইত্যাদি অভিধায় অভিহিত করে থাকেন। কিন্তু নিমোর্হ দৃষ্টিতে সে সময়ের ঘটনাপঞ্জী পর্যালোচনা করলে সহজেই বোঝা যাবে যে, তিনি বাংলাদেশের অস্তিত্বকে এক ঘোরতর অনিশ্চয়তা থেকেই রক্ষা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যা পরবর্তী সময়ে যে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা ত্বরিত পূরণ করা ছিল সময়ের দাবি। তিনি একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। তাঁর এই উদ্যোগে অভ‚তপূর্ব সাড়া মেলে জনগণের কাছ থেকে। জিয়ার সমালোচনাকারীরা যা-ই বলুন না কেন, পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যে গণজাগরণ তিনি সৃষ্ট করেছিলেন, তা গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। দেশে তখন জাতীয় ভিত্তিক সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। তাও সবেমাত্র বাকশালের আচ্ছাদন ছিন্ন করে আওয়ামী লীগ হিসেবে নতুন করে মানুষের কাছে উপস্থিত হয়েছে। কিন্তু বাহাত্তর-পঁচাত্তর সময়ের কিছু ঘটনা দেশবাসী তখনও ভুলতে পারেনি। বিশেষ করে দুষ্কৃতকারী দমনের নামে রক্ষীবাহিনীর নির্মম অত্যাচারের কথা তখনও জ্বলজ্বল করছিল সবার মনে। ফলে জিয়াউর রহমানের শান্তি ও উন্নয়নের রাজনীতি মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল। আর এখানেই জিয়াউর রহমানের সাফল্যের সূত্রপাত। তিনি এদেশের মানুষের মনের কথার প্রতিধ্বনি ঘটাতে পেরেছিলেন তাঁর কাজে। তাঁর উন্নয়ন কর্মসূচি মানুষ সাদরেই গ্রহণ করেছিল। তার ওপর ব্যক্তিগত সততা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা লগ্নে ঐতিহাসিক ভূমিকায় তাঁর একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল জনণের মধ্যে। ফলে তিনি যখন রাজনৈতিক দল গঠন করেন, তখন তাতে সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফ‚র্তবাবে যোগ দিতে থাকে। তিনি প্রচলিত ধারার রাজনীতির বাইরে নতুন একটি রাজনৈতিক তত্ত্ব মানুষের সামনে হাজির করেন। জনগণ তাঁর সে রাজনীতিকে গ্রহণ করেছিল। তাঁর ১৯ দফা কর্মসূচিকে এদেশের মানুষ তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির পথনির্দেশক বলেই গ্রহণ করেছিল।
জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সমালোচনা থাকতেই পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, রাজনীতি আর সমাজসেবা এক নয়। কেউ সমাজসেবা করতে চাইলে নিজের ইচ্ছা ও পছন্দ অনুযায়ী পদ্ধতিতে করতে পারেন। কিন্তু রাজনীতি করতে গেলে নানা দিক বিবেচনা করে এগোতে হয়। জিয়াউর রহমান যখন রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, তখন দেশে বিরাজ করছিল বিশাল এক শূন্যতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুজনিত কারণে সৃষ্ট সে শূন্যতা নিমিষেই পূরণ হওয়ার ছিল না। কোনো দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা যদি বেশিদিন স্থায়ী হয়, তাহলে রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে। জিয়াউর রহমান সেটা উপলব্ধি করতে পেরেই দ্রুত রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেন। এ লক্ষ্যে তিনি তৎকালীন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শও করেছিলেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনের যে উদ্যোগ জিয়াউর রহমান নিয়েছিলেন, তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা আবশ্যক ছিল। উল্লেখ্য, সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে যেসব রাজনৈতিক দলকে বিলুপ্ত করা হয়েছিল, ১৯৭৬ সালে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বলে সেগুলো পুনর্জীবিতকরণ ও ঘরোয়া রাজনৈতিক তৎপরতার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। সে সময় আবু সাদত মোহাম্মদ সায়েম রাষ্ট্রপতি থাকলেও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জিয়াউর রহমানের ইচ্ছায়ই যে সেটা ঘটেছিল তা বলাই বাহুল্য।
জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন দেশ পুনর্গঠনে একটি জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে। তিনি যে নতুন ধারার রাজনীতি প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন, তার সফলতার জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফরম ছিল অতীব জরুরি। দেশে যখন বহুদলীয় রাজনীতির পুনঃপ্রবর্তন ঘটল, তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী এবং আমাদের জাতীয় সংবিধানের প্রতি অনুগত যে কারো রাজনীতি করার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। সে সুযোগে স্বাধীনতাযুদ্ধে বিতর্কিত ভ‚মিকা পালনকারীরাও রাজনীতিতে প্রবেশের সুযোগ পায়। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ না হলে কারো রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করা যায় না, এটা স্মরণে রাখতে হবে।
আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করে আসছি যে, জিয়ার বিরুদ্ধবাদীদের কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে থাকেন। কেন, কোন যুক্তি-প্রমাণের ভিত্তিতে তারা এটা করে থাকেন, আমার বোধে আসে না। তাদের কেউ বলেন, জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, কেউ বলেন তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর চর ছিলেন। আবার কেউ বলেন, তিনি বাধ্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। জিয়ার বিরুদ্ধে উত্থাপিত এসব অভিযোগ যে অবিবেচনাপ্রসূত ও রাজনৈতিক বিদ্বেষজনিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি ছিলেন না, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ করলেই এর উত্তর পাওয়া যাবে। আর জিয়া বাধ্য হয়ে নাকি স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন, তার প্রমাণও রয়েছে ইতিহাসে। একাত্তরের পঁচিশে মার্চের পাক হানাদার বাহিনীর ক্র্যাক ডাউনের পর বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে রুখে দাঁড়ানোর সাহস দেখাতে ও ঝুঁকি নিতে আর কাউকে দেখা যায়নি। অনেক নেতা ছিলেন, অনেক বাঙালি সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন, কিন্তু কেউ জাতির কাক্সিক্ষত স্বাধীনতার সেই সাহসী উচ্চরণটি করতে সাহস পাননি। জিয়া পেরেছিলেন এবং তা নিজের ও পরিবারের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়েই। উদ্ভ‚ত সে সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে কাল বিলম্ব না করে গর্জে উঠেছিলেন তিনি। বলিষ্ঠ কণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন দ’ুটি শব্দ-‘উই রিভোল্ট’। একটি ডিসিপ্লিন্ড আর্মির একজন সদস্যের পক্ষে ‘রিভোল্ট’ বলাটা যে কত ঝুঁকিপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সফল হলে হিরো, ব্যর্থ হলো অবধারিত ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যু। তা জানা সত্তে¡ও নিখাঁদ দেশপ্রেমের কারণেই জিয়া ওই ঝুঁকি নিতে পেরেছিলেন। আর এ দুটি শব্দ উচ্চরণের সাথে সাথেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছেন। আজ সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট ভিন্নতর পরিবেশে জিয়ার দেশপ্রেম, স্বাধীনতাযুদ্ধে তাঁর অবদান ইত্যাদি নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তারা যে এর মাধ্যমে স্বাধীনতাযুদ্ধের অঙ্গহানি ঘটান এটা খেয়াল করেন না। তারা প্রকান্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই খাটো করে ফেলেন। কেননা, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারই জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম উপাধিতে ভ‚ষিত করেছিলেন। জিয়া যদি মুক্তিযোদ্ধাই না হবেন, তাহলে কেন বঙ্গবন্ধুর সরকার তাঁকে এ বীরত্বসূচক খেতাব দিয়েছিল? তাহলে কি বঙ্গবন্ধু না জেনেই এটা করেছিলেন, নাকি তিনি ভুল করেছিলেন? আসলে আমাদের দুর্ভাগ্য হলো, রাজনীতি আমাদেরকে এমনভাবে বিভক্ত করেছে যে, সম্মানীয় ব্যক্তিদের প্রাপ্য সম্মান দিতেও আমরা ভুলে গেছি। তবে, প্রতিষ্ঠিত সত্য হলো, স্বাধীনতাযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভুমিকা ইতিহাসের অংশ। রাজনৈতিক বিদ্বেষপ্রসূত কারণে কেউ তা ম্লান করতে চাইলেও পারবেন না। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের আকাশে জিয়া এক দেদ্বীপ্যমান জ্বলজ্বলে নক্ষত্র। সমালোচনার পেঁজা তুলোর মতো মেঘের সাধ্য কী তার আলোক বিচ্ছুরণকে আটকে রাখে!
রাজনীতিতে মতানৈক্য থাকবেই। তাই বলে দেশ ও জাতির জন্য যাঁরা অবদান রেখে গেছেন, তাদের অবমূল্যায়ন কাম্য হতে পারে না। স্বাধীনতাযুদ্ধে জিয়ার অবদানকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান, তারা মিথ্যাচারের বেসাতি করেন- এটা বলা বেধকরি অন্যায় হবে না। তেমনি যুদ্ধের সময় বন্দিত্বের কারণে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিকে যারা ভিন্নতর ব্যাখ্যা করতে চান, তারাও একই অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন। বঙ্গবন্ধু এবং জিয়াউর রহমানের তুলনামূলক আলোচনা আমার বিবেচনায় মূর্খতা ছাড়া কিছু নয়। জিয়াউর রহমান কখনোই বঙ্গবন্ধুর সমকক্ষ নন। তাঁরা দুইজন ইতিহাসে দুইভাবে মূল্যায়িত হবেন। একজন এদেশের মানুষের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনকে স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে মহানায়কের আসন লাভ করেছেন। অন্যজন জাতির সবচেয়ে সঙ্কটময় সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিহাসের গতিপথকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন।
আজ এক ভিন্নতর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে সেই ইতিহাস সৃষ্টিকারী নেতা জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী। এদিনে সবাই শ্রদ্ধা জানাবে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা পালনকারী এবং আমাদের রাজনীতির এক মহাপুরুষকে। যে যে রাজনীতির অনুসারীই হোন না কেন, যে পূর্বপুরুষগণ দেশ ও জাতির জন্য ইতিবাচক ভ‚মিকা পালন করেছেন, অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের কর্তব্য। আমাদের এমন কয়েকজন পূর্বসূরী রয়েছেন, যাঁদেরকে রাজনৈতিক বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা উচিত বলে অনেকেই মনে করেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান- তাঁদেরকে রাজনীতির বিতর্কে না এনে সর্বজনের শ্রদ্ধার আসনেই রাখা উচিত। আমাদের স্মরণ রাখা উচিত, জীবদ্দশায় তাঁরা কেউ কাউকে অসম্মান করেননি, অশ্রদ্ধা করেন নি। তাহলে আমরা কেন তা করতে যাব?
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন