মুহাম্মদ রেজাউর রহমান
গত ৫ মে হাইকোর্টের তিন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত এক বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ দুই বিচারপতির রায়ে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বলেছেন, এর ফলে বিচারপতিদের অপসারণ বা অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে আর থাকছে না। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ রায় স্থগিত চেয়ে তিন দিনের মধ্যেই সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছে।
জাতীয় সংসদের ষোড়শ সংশোধনী সর্বসম্মতিক্রমে পাস করা হয় ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। ষোড়শ সংশোধনীতে বলা হয়েছিল :
ক) এই আইন সংবিধান ষোড়শ সংশোধনী আইন, ২০১৪ নামে অভিহিত হবে।
খ) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের পরিবর্তে নি¤œরূপ ৯৬ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত হবে।
যথা :
৯৬। বিচারকের পদের মেয়াদ (১) এই অনুচ্ছেদের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে কোনো বিচারক সাতষট্টি বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।
২। প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যরে কারণে সংসদের মোট সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার দ্বারা সমর্থিত সংসদের প্রস্তাবক্রমে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ ব্যতীত কোনো বিচারককে অপসারিত করা যাইবে না।
গ) এই অনুচ্ছেদের দুই দফার অধীন প্রস্তাব সম্পর্কিত পদ্ধতি এবং কোনো বিচারকের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমাণের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবেন।
ঘ) কোনো বিচারক রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করিয়া স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।
৫ মে একটি রিট পিটিশনের রায়ে বলা হয়, সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার যে বিধান রয়েছে, ষোড়শ সংশোধনী তার পরিপন্থী। রায়ে বলা হয়, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সংসদ সদস্যরা নিজ দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দিতে পারেন না। দল যে সিদ্ধান্ত নেয়, তার পক্ষেই তাকে ভোট দিতে হয়। এমনকি তারা যদি ওই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে নাও করেন, তবুও ওই সিদ্ধান্তের পক্ষেই তাদের ভোট দিতে হয়, নতুবা তাদের সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যায়। রায়ে উল্লেখ করা হয়, বস্তুত আমাদের দেশের সংসদ সদস্যরা দলীয় নেতৃত্বের কাছে জিম্মি। তুলনামূলক বিশ্লেষণে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর কয়েকটি দেশে পার্লামেন্ট বা সংসদের হাতে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু ওইসব দেশের সাথে আমাদের দেশের সংসদ সদস্যদের মেলানো ঠিক হবে না। ওইসব দেশে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরেও ভোট দিলে তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিধান নেই। রায়ে আরও বলা হয়, কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে ৬৩ শতাংশ দেশে সংসদের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ করা হয় না। আমাদের সংবিধানে প্রথমদিকে এ বিধান ছিল, কিন্তু তা ছিল ইতিহাসের দুর্ঘটনা মাত্র।
যদিও হাইকোর্টের এ রায় চূড়ান্ত নয়। রাষ্ট্রপক্ষ ইতোমধ্যেই গত ৮ মে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছে। তবুও হাইকোর্টের রায় ঘোষিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জাতীয় সংসদ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগ দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সংসদ সদস্যদের কড়া সমালোচনায়। সংসদে কয়েকজন মন্ত্রীসহ সদস্যগণ বলেছেন, এ রায় গ্রহণযোগ্য নয়। সংসদে বলা হয়, ষোড়শ সংবিধান সংশোধনী বিল মোটেই অবৈধ নয়। হাইকোর্টের রায় সার্বভৌম সংসদ, গণতন্ত্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা খুঁজে বের করার দাবি জানান সংসদ সদস্যরা। ৫ মে’র অধিবেশনেই বিচারপতিদের বেতন-ভাতা বিল সংসদে উত্থাপনের জন্য আইনমন্ত্রী প্রস্তাব করলে প্রতিবাদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ওয়াকআউট করে সংসদ কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়। বিল উত্থাপন হয়ে গেলে অবশ্য তারা সংসদে ফিরে আসেন।
আইনমন্ত্রী সদস্যদের দ্বারা অনুরুদ্ধ হয়ে তার বিবৃতিতে সংসদে বলেন, সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদে যা ছিলÑতা ছিল সামরিক শাসকের আদেশ দ্বারা গৃহীত। ১৯৭৮ সালে সামরিক শাসনামলে সংশোধনী দ্বারা গঠিত হয়েছিল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। তা ছিল বেআইনি। ১৯৭২ সালে মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা জাতীয় সংসদের ওপরই ন্যস্ত ছিল। এখানে উল্লেখ্য, ৫ মে’র হাইকোর্টের রায়ে এ সম্পর্কে বলা হয়, এটা ছিল ইতিহাসের দুর্ঘটনা মাত্র। স্মরণ করা যেতে পারে, ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ওই ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়েছিল। অপরদিকে ষোড়শ সংশোধনী যে সংসদে পাস করা হয়েছিল, সেই সংসদের সদস্যরাই আট মাসের মাথায় হাইকোর্ট কর্তৃক তাদের দ্বারা গৃহীত সংবিধানের সংশোধনী বাতিল ঘোষিত হওয়ায় মর্মাহত হতেই পারেন, তাই বলে তাদের এতটা উষ্মা প্রকাশ করতে হবে কেন? সংসদ সদস্যরা আরেকটু সংযত মন্তব্য করলেই কি শোভনীয় হতো না?
অন্যদিকে হাইকোর্টের যে দুজন বিজ্ঞ বিচারপতি সংসদে কোনো প্রস্তাব উত্থাপিত হলে সংসদ সদস্যদের অসহায়ত্ব উল্লেখ করেছেন, সেই ৭০ অনুচ্ছেদ হলো : রাজনৈতিক দল হতে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া। কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদিÑ
১) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন অথবা
২) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সংসদ সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।
রাষ্ট্রপক্ষ ষোড়শ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে যে আপিল দাখিল করেছেনÑএখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এর শুনানি শুরু হলে যেসব যুক্তিতর্ক উপস্থাপিত হবে, তার মধ্যে হাইকোর্ট কর্তৃক উল্লেখ করা ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদে ভোট গ্রহণের সময়ে সদস্যদের ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকার বিষয়টিও উঠে আসবে বলেই মনে হয়। সংসদ সদস্যরা অবশ্য উল্লেখ করেছেন যে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হবে বলে আশা করা যায়। কারণ সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জাতীয় সংসদ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই ষোড়শ সংশোধনী গ্রহণ করেছিল। সুপ্রিম কোর্টে বার সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ দুজনই সংশ্লিষ্ট সব মহলকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন। এখন বল সুপ্রিম কোর্টে হলেও ষোড়শ সংশোধনী যে সংসদ পাস করেছিল, সেই সংসদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক হাইকোর্টের রায় বহাল থাকলে তা সহজভাবে ও মুক্তমনে গ্রহণ করা সম্ভব হবে কিনা তা দেখার অপেক্ষায় রইল দেশের সচেতন জনগণ। বিচারপতিদের অপসারণ পদ্ধতি নির্ণয়ে হাইকোর্টের রায়ে শুধু ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের কথাই বলা হয়েছে ও রায়ের পক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরা হয়েছে। রায়ে বিচারপতিদের অপসারণ পদ্ধতি নির্ণয়ের জন্য কোনো সুপারিশ করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট তা যদি করেন, তাহলে বর্তমান সংসদের সদস্যরা সে অনুযায়ী নতুন সংবিধান সংশোধনী এনে বর্তমান বিতর্কের একটি স্থায়ী সমাধানের পথে অগ্রসর হতে পারেন। রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে একটি সম্মত সমঝোতাই সবার কাম্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ও যদি হাইকোর্টের রায়ের সমার্থক হয়, রাষ্ট্রের দুই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গের মধ্যে তাহলে একটা বিরোধ সৃষ্টি হবেÑএতে কোনো সন্দেহ নেই।
সাবেক বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বিচারক অপসারণের প্রক্রিয়াকে জাতীয় সংসদে রেখেও ৭০ অনুচ্ছেদের আওতামুক্ত রাখার প্রস্তাব করেছিলেনÑ অর্থাৎ বিচারক অপসারণ প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে প্রস্তাব করেছিলেনÑ অর্থাৎ বিচারক অপসারণ প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে সংসদ সদস্যদের ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে দলীয় নির্দেশ কার্যকর থাকবে না। বাস্তবে তা ঘটেনি। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ভোটদানের ক্ষেত্রে সংশোধনী আনতে হবে। তারপরেও সংসদ সদস্যরা কতটা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাছাড়া, সংসদের কাছে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা থাকলে বিচারকের ওপর একটা রাজনৈতিক চাপ থাকবেÑ এটা সহজেই অনুমেয়।
বাংলাদেশে যেটা লক্ষ করা যায়, তা হলো কোনো রায় যদি সরকারের মনঃপূত হয়, তাহলে পুরো মাত্রারও বেশি সুবিধা আদায় করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যখন সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল করা হয়, তখন সরকার এতটাই সন্তুষ্ট হলো যে, আরও দুটি সাধারণ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের সুপারিশ থাকলেও তার প্রতি কোনো দৃষ্টিই দেওয়া হলো নাÑআর এটাই দেশে সহিংসতা ও বিদ্বেষের রাজনীতিকে শতগুণে বর্ধিত করার জন্য দায়ী। সরকারি দল উচ্চ আদালতের রায় তাদের অনুকূলে গেলে যতটা খুশি হয়, ততটাই ক্ষুব্ধ হয় কোনো রায় তাদের প্রতিকূলে গেলে। আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা এতে প্রতিফলিত হয় না। আইনের শাসন শুধু মুখে মুখে চাইলেই হবে না, বাস্তবে এটা মেনে নিতে হবে।
আইনমন্ত্রীও সংসদ সদস্যদের মতো আবেগের জোয়ারে ভেসে গিয়ে বলেছেন, “আশা করি, সুপ্রিম কোর্টে এই রায় টিকবে না। তবে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না। সংসদ সদস্যদের মতো হাইকোর্টের রায়ে তিনি ক্ষুব্ধ হতে পারেন, কিন্তু সব কিছুতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া বিশেষ করে উচ্চ আদালতের রায়ে ষড়যন্ত্র থাকার চিন্তা একেবারেই অমূলকÑএটা অনায়াসেই বলা যায়।
হাইকোর্টের রায় যে কোনো ষড়যন্ত্রের ফল নয়, এটা রায়েই কিছুটা বলা আছে। এরপর অর্থাৎ ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করার পর বিচারপতি অপসারণের ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবেÑহাইকোর্ট সে সম্পর্কে কোনো দিকনির্দেশনা না দিয়ে বিষয়টির সম্ভাব্য সমাধান সুপ্রিম কোর্টের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
সংবিধানের অন্তর্গত ৯৬ অনুচ্ছেদে “বিচারকের পদের মেয়াদ” শীর্ষক অনুচ্ছেদের স্থানে ষোড়শ সংশোধনী প্রতিস্থাপিত হবেÑএই ছিল ষোড়শ সংশোধনীর ঘোষণা। এখন ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হয়ে গেলে নতুন এবং বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের সর্বসম্মত ব্যবস্থা অনুযায়ী নতুন কোনো সংশোধনী গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত অসদাচরণ ও অসামর্থ্যরে কারণে দোষী সাব্যস্ত হলে সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের কোনো বিচারপতি অপসারণের পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে এক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে ছিলেন প্রধান বিচারপতি ও দুজন জ্যেষ্ঠ বিচারক। ষোড়শ সংশোধনীতে এর পরিবর্তে সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যদের ভোটে অপসারণ সংক্রান্ত পরামর্শ প্রেসিডেন্টের কাছে যাবে ও প্রেসিডেন্ট তাতে স্বাক্ষর করলে বিচারপতি অপসারিত হবেন। সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন এ সম্বন্ধে বলেছেন, “যদি সংসদের ফ্লোর বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত বিষয়ের ভাগ্য-নিয়ন্তা হয়, তাহলে ভয়ানক ব্যাপার ঘটবে। রায়ের পরে আমরা যা দেখলাম, তাতে আশঙ্কা করি, কেউ রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সংসদে এসে খড়গহস্ত হওয়ারই প্রবণতা দেখাতে পারেন। সর্বোচ্চ আদালতকে চাপে ফেলতেই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বিলোপ করে সংসদের হাতে অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে। (প্রথম আলো : ৮ মে, ২০১৬)
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন যে, “আমাদেরকে এখন আপিলের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।” সুপ্রিম কোর্টের রায় যাই হোক না কেন, সকল পক্ষকেই তা মেনে নিয়ে আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধার প্রমাণ রাখতে হবে।
য় লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন