বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শ্রীপুরে স্ত্রীর হাতে স্বামীকে ৬ টুকরো করে খুন

পরিবারকে সহযোগিতাই কাল হলো রফিকুলের

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

 গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকায় স্ত্রীর হাতে নৃশংস হত্যার শিকার রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার উলামাকান্দি গ্রামে চলছে শোকের মাতম। রফিকুলের বাবা আব্দুল লতিফ শেখ ও মা ফিরোজা খাতুন ছেলের শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার উলামাকান্দি গ্রামে নিহত রফিকুলের বাড়িতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মা-বাবার সংসারে রফিকুল ইসলাম ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য। সে পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেওয়াসহ স্নাতকোত্তর অধ্যয়নরত ছোট ভাই শফিকুল ইসলামের লেখাপড়ার খরচ জোগাতেন। সাত বছর আগে রফিকুলের সঙ্গে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বিষমপুর গ্রামের চান মিয়ার মেয়ে জেবুন নাহারের বিয়ে হয়। পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করার কারণে স্ত্রীর সঙ্গে রফিকুলের প্রায়ই কথা-কাটাকাটি হতো। স্ত্রীর কথায় রফিকুল বাড়ি ছেড়ে গাজীপুরে গিয়ে পোষাক কারখানায় চাকরি নেন। এর পরই রফিকুল পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। তার স্ত্রী জেবুন নাহার রফিকুলকে পরিবারের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ রাখতে দেয়নি। রফিকুল শ্রীপুরে হাউআরইউ কারখানায় এবং স্ত্রী জেবুন নাহার মেঘনা নীট কম্পোজিটে চাকরী করত। সেখানে তাদের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া হতো। বৃহস্পতিবার সকালেও তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সেই স্ত্রী জেবুন নাহার নির্মমভাবে স্বামী রফিকুল ইসলামকে খুন করে লাশ সারাদিন ওয়্যারড্রোবে রেখে রাতে বটি দিয়ে ৬ টুকরো করে ফেলে দেয় । স্বামীকে হত্যার পর মরদেহ কেটে ছয় টুকরো করার এমন ভয়াবহতায় আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী স্তম্ভিত।

শনিবার রাতে রফিকুল ইসলামের লাশ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌছলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী। রাতেই নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়। পুত্র শোকে কাতর মা-বাবাকে সমবেদনা জানাতে প্রতিনিয়ত রফিকুলের বাড়িতে ভিড় করছে আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী।
নিহত রফিকুল ইসলামের পিতা আব্দুল লতিফ জানান, বিয়ের পর স্ত্রী জেবুন নাহার স্বামী রফিকুলকে ফুসলিয়ে ঢাকায় নিয়ে যায়। তাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করতে দেয়নি।

নিহতের ছোট ভাই কলেজ ছাত্র শফিকুল ইসলাম বলেন, জেবুন নাহারের আগেও ২টি বিয়ে হয়েছিল। তা গোপন রেখে আমার ভাইকে বিয়ে করেছে। ৪/৫ মাস আগেও জেবুন নাহার অপহরণ হওয়ার নামে প্রতারণা করে স্বামীর কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ফিরে আসে। সে খারাপ প্রকৃতির মেয়ে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন