শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রোগি আছে ডাক্তার নেই

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষিত : জেলা উপজেলা হাসপাতালের করুণ চিত্র

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

 গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয় সহকারী অধ্যাপক ডা. জাবেদকে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিপ্তরের হাসপাতাল শাখার ডিপিএম হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিনেও ওই মেডিকেলে যোগদান করেননি। সরকার দলীয় চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচীপ) ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) প্রভাবশালী এই নেতা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হুংকার দিয়ে বলছেন- তিনি কখনোই শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজে যোগ দিবেন না। 

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয় নিউরোলজীর চিকিৎসক ডা. আব্দুল হাইকে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ডা. আব্দুল হাই বরিশাল মেডিকেলে যোগদান করেননি। স্বাচিপের পরিচয় দানকারী প্রভাবশালী এই চিকিৎসক বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় ইবনে সিনা মেডিকেলে কাজ করছেন।
শুধু ডা. আব্দুল হাই বা ডা. জাবেদই নন; দীর্ঘদিন থেকেই রেওয়াজ হিসেবে চালু আছে চিকিৎসকদের ঢাকার বাইরের জেলায় থাকা সম্ভব নয়। আর সেটা যদিও হয় ক্ষমতাসীন দলের চিকিৎসকদের সংগঠনের কেউ, তাহলেতো কথাই নেই।
এদিকে অনেক সময় বাধ্য হয়ে ঢাকার বাাইরে থাকলেও অধিকাংশ চিকিৎসকই কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না। তারা ঢাকাতে অবস্থান করে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে নিজস্ব চেম্বারে বড় অঙ্কের ‘ফি’ নিয়ে প্রেসক্রিপশনে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট ও ওষুধ লিখে চিকিৎসা বাণিজ্য করছেন। আবার অনেক চিকিৎসক আছেন যারা সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন। যদিও অনেক দক্ষ চিকিৎসক সরকার দলীয় চিকিৎসকদের যাতাকলে পড়ে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়ের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় চিকিৎসক-নার্সদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই ক্ষোভ এবারই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময়ে একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কর্মস্থলে না থাকলে এবং সেবা না দিলে চিকিৎসক ও নার্সদের ওএসডি করা হবে। প্রয়োজনে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে। একই সঙ্গে বদলি করা চিকিৎসক যদি কাজে যোগ না দেয়, তবে ওএসডি করে তাদের সরিয়ে দেওয়ারও কথা বলেছেন। বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দায়িত্ব নিয়েও জেলা-উপজেলা চিকিৎসকদের রাখতে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের কথা বলেছেন। সরকারের দিকে থেকে বিভিন্ন সময় এ নিয়ে কঠোর বার্তা দেয়া হলেও তাতে দৃশ্যমান কোন লাভ এখনো পর্যন্ত হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক স্বীকার করেছেন যে তাদের অনেক সহকর্মী বদলি ঠেকানোর জন্য রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেন।
যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের কারসাজি চলে সর্বত্র। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর কথাই ধরুন, আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় এখন স্বাস্থ্য খাতের ভাগ্যবিধাতা তারাই। গত ১০ বছরে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পরে দেশের স্বাস্থ্য খাত। তবে গত ৫ বছরে তা ভয়াবহ রুপ ধারণ করে। সদ্য বিদায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ দায় এড়াতে পারেন না। প্রায়শই বক্তব্যে ন্যায়ের কথা বললেও তিনি স্বাস্থ্য খাতের প্রত্যেকটি স্থানে দলীয় লেজুড়বৃত্তি করেছেন। একই সঙ্গে তার দুই ছেলে ও স্ত্রীকে দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, দরপত্রের কাজ পাইয়ে দেওয়াসহ চিকিৎসাখাত নিয়ে এক ধরণের বাণিজ্যে মেতে উঠেছিলেন। এক্ষেত্রে যোগ্য-অযোগ্য, ন্যয়-অন্যায় দেখেননি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতা। আর তাই প্রান্তিক মানুষের চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগও বারবার ভেস্তে গেছে। যদিও ওই সময়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বিভিন্ন সময়ে অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও মোহাম্মদ নাসিমের প্রভাবে স্বাস্থ্যখাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারেননি।
রোগীদের সেবা দেয়া ডাক্তারদের পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য। অথচ অনেক ডাক্তারেরই এই দায়িত্ব-কর্তব্যে মনোযোগ নেই। এমনকি চিকিৎসক-নার্সদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরদিনই, গতকাল দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দেখা গেছে সেই পুরনো চিত্রই।
সুত্র মতে, সকাল ৯টার মধ্যে চিকিৎসকদের উপস্থিত থাকার কথা সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে। এখানে ১৩ জন চিকিৎসকের বদলে পাওয়া যায় মাত্র ৩ জনকে। চৌহালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল ১০ টা পর্যন্ত পাওয়া গেছে মাত্র একজন চিকিৎসককে। কামারখন্দেও ৯ জনের পরিবর্তে ছিলেন মাত্র ২ জন। খাবার সরবরাহ ও ওষুধ সংকটের অভিযোগও করছেন রোগী ও স্বজনরা। নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হননি চিকিৎসকরা। ৩ জন দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও আছেন ২ জন।
বরিশালে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও অনিয়মের চিত্র দেখা গেছে। সকাল থেকে রোগীর দীর্ঘলাইন থাকলেও চিকিৎসকরা দেরিতে আসেন কর্মস্থলে।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা, সেখানে রয়েছেন ৫ জন, দাবি কর্তৃপক্ষের। তবে সকালে ৩ জনকে পাওয়া যায়। নেই আবাসিক চিকিৎসকও।
গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসা সেবা নিয়ে যারা আন্দোলন করেন তাদের অভিযোগ হচ্ছে, বড় শহরগুলোর বাইরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার সুযোগ কম থাকায় চিকিৎসকরা সেদিকে যেতে অনাগ্রহী।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কাজ করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি মনে করেন, ভালো আবাসন এবং সন্তানদের শিক্ষার কথা বলে অনেক ডাক্তার ‘অজুহাত’ তুলে ধরছেন। ডা. চৌধুরী বলেন, ঢাকা নগরী ডাক্তারদের যানজটে পরিনত হয়েছে। অন্য সরকারী অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি ঢাকার বাইরে কাজ করতে পারেন তাহলে ডাক্তাররা পারবেন না কেন? তিনি বলেন, সে জন্য একটি সুনির্দ্দিষ্ট পদ্ধতি গড়ে তোলা দরকার যাতে একটি নির্দ্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ডাক্তারা গ্রামীণ এলাকায় কাজ করতে বাধ্য হন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মোহাম্মদ এহতেশামুল হক চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সিভিল সার্জনদের অবহেলার কারণেই চিকিৎসকরা গ্রামে যাচ্ছেন না। তিনি বলেন, বিএমএ’র বিরুদ্ধে অভিযোগ অবান্তর। স্বাস্থ্য সেবা মানুষের নাগালে পৌঁছানোর জন্য আমরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছি। যাদের দায়িত্ব পালন করার কথা তারা পালন না করে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে না থাকার কারণে গ্রামে যেতে চায় না চিকিৎসকরা। বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছে, গ্রাম হবে শহর। এটা বাস্তবায়ন হলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
সূত্র মতে, যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যায়, সেই দলই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের বাগ্যবিধাতা। স্বাচিপ ও বিএমএ’র ব্যনারে চলে তাদের সকল কর্মকান্ড। আর সেই সুযোগে ডাক্তাররা তাদের ইচ্ছেমাফিক সবকিছু পরিচালনা করেন। প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন রাজধানীতে অবস্থান করা থেকে শুরু করে নানা ধরনের অনিয়মে চিকিৎসকরা জড়িয়ে পড়ছেন। যদিও চিকিৎসকদের রাজনীতির মারাত্মক প্রভাবে প্রায়শই সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চরম ভোগান্তিতে ফেলে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য, রোগী ভর্তি, চিকিৎসা-সরঞ্জাম ও ওষুধ কেনাকাটা, নিয়োগ, বদলি-পদোন্নতি অনেককিছুতেই রাজনীতি সরকারি হাসপাতালে। এই রাজনীতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, মাঝেমধ্যেই ডাক্তার-কর্মচারীরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত করছেন। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজন। তবে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে সরকারি দলের ডাক্তারদের মধ্যে। বিরোধী দলের ডাক্তাররা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় সরকারি দলের একচ্ছত্র আধিপত্য চলছে হাসপাতালগুলোতে। বিএনপির শাসনামলে এই কালচার ছিল ছাত্রদল করা ডাক্তারদের মধ্যে। রাজনীতির সাথে জড়িত ডাক্তাররা রোগী এবং তাদের স্বজনদের সঙ্গে প্রায়শই দুর্ব্যবহারও করেন।
ক্ষমতার দাপটে গ্রামের হাসপাতাগুলোতেও দিনের পর দিন চরম ডাক্তার সংকট থাকছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে গ্রামীণ চিকিৎসাব্যবস্থা। আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে সেখানকার রোগীদের। গ্রামের হাসপাতালে শহর থেকে বদলি করলেই অনেক ডাক্তার স্বাচিপের প্রভাব খাটিয়ে বদলি ঠেকান অথবা মাসের পর মাস শহরে থাকেন আর বেতন নেন গ্রামের ওই হাসপাতাল থেকে। ফলে ছোটোখাটো অপারেশন হলেই ডাক্তার পান না রোগীরা। চলে আসতে হচ্ছে শহরের বড়ো হাসপাতালে। এতে যেমন অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে, তেমনি পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
স্বাচিপের মহাসচিব প্রফেসর ডা. এমএ আজিজ বলেন, স্বাচিপের ডাক্তারদের কারণে হাসপাতালের রোগীদের ভোগান্তি বা ক্ষতি হচ্ছে না। বরং তারা নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা দিয়ে রোগীদের সুস্থ করার পাশাপাশি রোগীদের কল্যাণের কথাই সবসময় চিন্তা করেন।
ডাক্তারদের নিবন্ধনকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)-এর রেজিস্ট্রার ডা. জাহেদুল হক বসুনিয়া বলেন, রোগীদের ক্ষতি হয় এমন যে কোনো অপরাধের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তারা সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (19)
Shamim Reza ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৭ এএম says : 0
এটাই বাস্তব।
Total Reply(0)
Suki Chowdhury ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৭ এএম says : 0
এখানে চিকিৎসার প্রয়োজন হই না তাই doctor নাই।
Total Reply(0)
Abdullah Al Mamun ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৮ এএম says : 0
Othocho amra osonkho post graduation kora dactar upozilai pore achi bochorer por bochor.
Total Reply(0)
Mizan Raj ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 0
বিভাগীয় শহরে একমাত্র সরকারী মেডিকেল কলেজের যদি এই অবস্থা! তাহলে সমগ্র দেশের কি দৈন্য অবস্থা?
Total Reply(0)
Akib Hasan ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
সরকারি হাসপাতালের সব ডাক্তার বাবুরা এখন টেস্ট বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রোগী হয়ে হাসপাতালে গেলেই শুধু টেস্ট আর টেস্ট।
Total Reply(0)
সব্যসাচী ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , চিকিৎসকদের রাজনীতি বন্ধ করে দিন ।। আপাতত এই একটা কাজ দয়া করে করুন , তারপর দেখুন না কী হয় !
Total Reply(0)
Md. Geasuddin Ahmed ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
During this tenure of five years if present Govt. can control corruption, bribe, nepotism and established good governance in the country then they will continue further with the development of our beloved country. Govt. should be strict in every sector. Peoples are surely watching the performance of the present Government and hope to see better result.
Total Reply(0)
Md. Shafiqur Rahman ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
দ্বিতীয শ্রেণীর নামে সরকারি বিভিন্ন অফিসের একই পদে বৈশম্য সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। কেউ দ্বিতীয় শ্রেণী হয়েছে কেউ হয়নি। কারো পেনশন করা হয়েছে কারো হয়নি। এত বৈশম্য সরকারি চাকুরতে কেন থাকবে।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
আমি বেশ কয়জন তরুণ ডাক্তারকে জানি যারা নিজেরাই ইয়াবা সেবন করে। ঢাকার বাইরে পোস্টিং সেটাকে কি ভাবে ম্যানেজ করে জানি না। কিন্তু চাকরী ঠিকই আছে। আরেকজন কে জানি সরকারী চাকরীর সাইনবোর্ড ব্যবহার করে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে একাধিক ফ্ল্যাট কিনেছে। অথচ তার মুখে সরকার নাকি দুর্নীতিবাজ। নিজে চালুনী হয়ে সুঁচের সমালোচনা করছে.. এই হলো বাংলাদেশ।
Total Reply(0)
hafiz anwar ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
BSMMU(পিজি হাসপাতাল) এর কার্ডিওলজী বিভাগের নার্সদের ব্যাপারে বলি। সরকার যখন নার্সদের ২য় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে ঘোষনা দিল।এরপর থেকেই কার্ডিওলজীর নার্সরা তাদের ওয়ার্ডবয়দের সাথে জঘন্য আচরন করা শুরু করলো। আর কথায় কথায় চাকরী খাওয়ার হুমকিতো আছেই। আমি এমনো দেখেছি,২৬/২৮ বয়সী নার্স ৪০ উর্দ্বো ওয়ার্ডবয়কে তুই/তুমি করে ডাকছে। মানে নার্সরা হলো বাড়ীওয়ালা আড় ওয়ার্ডবয় হলো চাকুরে। আরে একজন সভ্য বাড়ীওয়ালা ও তো তার চাকুরের সাথে এরকম আচরন কখনোই করেনা। এতো গেলো ওয়ার্ডবয়দের প্রতি নার্সদের আচরণ। আর সাধারন রুগীদের সাথে সরকারী হাসপাতাল মেডিকেল গুলো তে যে কি আচরণ করে!!! যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না।
Total Reply(0)
Sakhawat Hossain ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 0
দায়িত্বে অবহেলাকারীরা এতটা ভালোমানুষ নয় যে আপনি বললেই চাকরি ছেড়ে দেবে ! দলীয় পরিচয়য়ের উর্ধে উঠে ব্যবস্থা নিন, বরখাস্থ করুন ।
Total Reply(0)
Mohammad Sirajullah ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 0
That will not work. Doctyors will be happy to be OSD. Without work they will get salary and income from private practice. They will earn more than now. Sincer 1949 Doctors were fighting to make their job non practicing. But Government will not do it. Judges have law license but they can not do private practice. Why Doctors ? There must be some mistry which we do not know or PM does not want to tell.
Total Reply(0)
saad Ahmed ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
Health services is related to humanity if doctors and nurses are did not treat patient properly then DR or Nurse cannot be count as a proper human because patients are vulnerable they are ill help less this is why a human is come to another human for help.One day DR or any health worker can became a sick,ill,they must think that,I work in Hospital our policy is Patient First.
Total Reply(0)
Sengupta ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া স্বাস্থ্যখাতসহ সমাজের কিছু ঘটনার পেছনের দুর্নীতি নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা ও লেখালেখি হয়েছে। আমাদের দাবি, পুরো স্বাস্থ্য খাতের আগাপাছতলা নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত এবং অপরাধীদের শাস্তি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের সমস্ত শাখার পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাস এবং দূষণ ও দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষেধকের ব্যবস্থা, যাতে ভবিষ্যতে এ জাতীয় ঘটনা আর ঘটতে না পারে। জঞ্জাল ভালোভাবে সাফ করা না হলে দুর্নীতির রক্তবীজ নতুন করে জন্ম নেবে, বিস্তার লাভ করবে স্থানে-অস্থানে।সমাজে ও কর্মস্থলে দুর্নীতির বিস্তার যে হারে দেখা দিয়েছে, তাতে শুধু স্বাস্থ্য খাতই নয়, শিক্ষাসহ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের শাখা-প্রশাখায় অনুসন্ধান চালানো দরকার। কারণ সেসব ক্ষেত্রেও যে দুর্নীতির কর্মকান্ড - উদ্ঘাটিত হতে পারে। জঞ্জাল সাফ করার দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে একটি শক্তিশালী ‘সেল’ গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ মনে রাখতে হবে যে, দুর্নীতি বাংলাদেশি সমাজের সবচেয়ে বড় শত্রু এবং সরকারের জন্য তা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
Total Reply(0)
Zafar swapan ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
সরকারী মেডিকেল কলেজে ডাক্তার হিসেবে ছাত্র ভর্তির সময়েই কতগুলো শর্ত আরোপ করা যেতে পারে যেমনঃ প্রথম পাঁচ বছর উপজেলা লেভেলে চাকরী করতে হবে, অধূমপায়ী হতে হবে, পাঁচ বছর উপজেলা লেভেলে চাকরী করলেই কেবল উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য আবেদন করতে পারবে, প্রথম তিন বছর প্রাইভেট প্রাকটিস করতে পারবে না। তারা জনগণের টাকায় ডাক্তার হয় সুতারাং সরকার চাইলেই এগুলো ভর্তির শর্ত হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।
Total Reply(0)
Sadhan Chandra Sutra Dhar ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
This is my request to prime minister .take necessary step to remove corruption from our country .
Total Reply(0)
Foysal ahmed ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের না থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সব হাসপাতালে বায়োমেট্রিক উপস্থিতি ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ দেন, যাতে চিকিৎসকদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়।
Total Reply(0)
Md. Jasim Uddin ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ৯:৪৬ এএম says : 0
আমাদের্ দেশের প্রতিটি সরকারই যার যার সাধ্য অনুযায়ী সর্বত্র দলীয় করনের মহাউৎসব পালন করেছে। যার ফল আজ মানুষ ভোগ করছে। এমন কোন সরকারী সেক্টর নাই যেখানে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে তাদের সেবা পাচ্ছে। বর্তমানে মানুষ কোন রকম অসুস্থ্য হলেই ভারত চলে যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য। কারণ বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর একেবারেই মানুষের আস্থা নাই। এতে লাভ হচ্ছে ভারতের। যা কখনই কর্তাব্যক্তিরা লক্ষ্য করেন না। তাদের তো আর কোন অসবিধা নাই। নেতাদের সমস্যা হলে তারা রাষ্ট্র তথা জনগনের টাকায় সিঙ্গাপুর যায় চিকিৎসা করাতে। এদের লজ্জাশরম বলতে কিছু নাই। এদের কাছে অভিযোগ করে কি লাভ হবে? যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, বিরোধীদলের নেতা নেতৃরা তাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ যায় সে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার যে কি অবস্থা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
Total Reply(0)
Mohammad Maniruzzaman ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:৩৮ এএম says : 0
ও এস ডি কেন/? বিনা কাজে বেতন পাওয়ার সুবিধা দিতে? এদের সরাসরি বরখাস্ত করুন । চটকদার পদবি, অফিসার বানিয়ে দেয়া নিম্ন পদস্ত কর্মিদের জন বিচ্ছিন্ন করেছে । অফিসার- অর্ডার দিবে, কাজ করবে কেন? ষাটের দশকের ইউনিয়ন কৃষি সহকারী আশির দশকে ব্লক সুপারভাইজার হয়ে কৃষকের ইউনিয়ন ছেড়ে শহরে চলে যান । এরপর ব্লক সুপারভাইজার থেকে অফিসার হয়ে এখন সবাই ঢাকা থাক্রাতে চায় । কৃষকের ভাই থেকে স্যার হয়ে গেছেন। হাসপাতালের সিষ্টার এখন ম্যাডাম । কেরানিরা অফিসার । কাজ করবে কে? এদের নিয়ে রাজনীতি করবেন আবার কাজ করতে বলবেন এটা তারা সহজে নিবে কেন? যারা সরকারের তথা জনগনের টাকায় বেতন পায় এদের সবার রাজনীতি বন্ধ করে দিন। সবাই ঠিক হয়ে যাবে । আপনিই পারবেন ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন