শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অর্থনীতিতে অসাধারণ অর্জন

প্রবৃদ্ধিতে ৫ বছরে ভারত ও চীনের সমান বাংলাদেশ

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

হেনরি কিসিঞ্জারের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বাংলাদেশের ‘অর্থনীতির ঝুড়ি’ এখন টইটম্বুর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশ উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের সার্বিক অর্থনীতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। গত ১০ বছরে দ্রুত গতিতে ‘অর্থনীতি’ বড় হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবনীয় সাফল্য এবং শিল্প, কৃষি, বাণিজ্য, একটি বাড়ি একটি খামার, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার তিন বছর ধরে রয়েছে ৭ শতাংশের ওপরে। এর মধ্যেই ভারত, চীন, জাপান ও কোরিয়ার বিনিয়োগ বাড়াতে পৃথক পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন করে সউদী সরকারও বড় বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকান্ড যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে; বিদেশি বিনিয়োগ অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অনেক প্রভাবশালী দেশকে ছাড়িয়ে যাবে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। বর্তমান ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২০২০ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে পৌঁছানোর লক্ষ্য চলতি অর্থবছরের মধ্যেই বাস্তবায়ন হতে পারে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
সূত্র মতে, ৭০-এর দশকে বাংলাদেশের জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ১ থেকে ২ শতাংশে ছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ সময়কালে প্রবৃদ্ধি ছিল গড়ে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও এর প্রবৃদ্ধির হারে দেখা যায়, গত অর্থবছরে জিডিপি তথা অর্থনীতির আয়তন দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা, আর আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির এই হার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রক্ষেপিত ৭ দশমিক ৪০ শতাংশের চেয়েও বেশি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন, যা নিয়ে দেশের নীতিনির্ধারকসহ বিভিন্ন মহল স্বাভাবিকভাবেই বেশ উচ্ছ¡সিত। এই উচ্ছ্বাসে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে ব্রিটিশ পত্রিকা স্পেক্টেটরের ইনডেক্স। তাদের মতে, বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ মাথাপিছু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গত পাঁচ বছরে চীন ও ভারতের সমানতালে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত দ্য স্পেক্টেটর ইনডেক্স রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের ক্রয় সক্ষমতা ছিল ৪৫ শতাংশ, যা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও চীনের সমান।
স্পেক্টেটর ইনডেক্স বা সূচক একটি সাপ্তাহিক ব্রিটিশ পত্রিকা, সেখানে বিশে^র রাজনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাস, সামরিক বিষয়, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
এ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তার একটি তুলনামূলক চিত্র দেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে। ভেনিজুয়েলার সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতির তুলনা করে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। ১৯৮০ সালে ক্রয় সক্ষতার ভিত্তিতে ভেনিজুয়েলার অর্থনীতির আকার যেখানে ছিল ১১৭ বিলিয়ন ডলার; সেখানে বাংলাদেশের আকার ছিল ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮ সালে এসে মোট দেশজ উৎপাদনে ভেনিজুয়েলা ৩৩০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশ ছিল ৭৫১ বিলিয়ন ডলারে।
স্পেক্টেটর সূচকে আরো বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে ইন্দোনেশিয়ার জিডিপি প্রতি ক্যাপিটা পিপিপি বৃদ্ধির হার ২৯ শতাংশ, তুরস্কে ২৭ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৪ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২২ শতাংশ এবং মিসরের ১৮ শতাংশ।
এই সময়ে প্রবৃদ্ধিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ শতাংশ, জার্মানিতে ১৫ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১৫ শতাংশ, কানাডায় ১৩ শতাংশ, জাপানে ১৩ শতাংশ, ফ্রান্সে ১২ শতাংশ, ইতালি ১২ শতাংশ, সউদী আরবে ৯ শতাংশ, রাশিয়ায় ৯ শতাংশ, নাইজেরিয়া জন্য ৪ শতাংশ এবং তবে নেতিবাচক ১ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল ব্রাজিলে।
এমনকি বিশ্বব্যাংকের ২০১৮ সালের মানবসম্পদ সূচকেও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার বিদ্যমান মান বিবেচনা করলে বাংলাদেশের শিশুরা ভারত ও পাকিস্তানের শিশুদের চেয়ে বেশি উৎপাদনশীল হবে। এই সূচক অনুযায়ী, ১৫৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৬তম। ভারত ও পাকিস্তান যথাক্রমে ১১৫ ও ১৩৪তম।
এখানেই শেষ নয়; গত ১০ বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৫৩৮ ডলার থেকে ১৭৫১ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আর এসব কারণে গত ১০ বছরে ১৭টি দেশকে পেছনে ফেলে ৫৮ থেকে ৪১তম দেশে উঠে এসেছে বাংলাদেশ, যা নিঃসন্দেহে একটি অসাধারণ অর্জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশ উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সামনে আছে আরো ২২টি বছর। এই সময়ে আরো ২২টি সিঁড়ি ভেঙে বাংলাদেশ উন্নত দেশে উত্তীর্ণ হবে এটাই লক্ষ্য। এই সময়ের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশীল, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে উত্তীর্ণ হবে বলে অভিমত অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের।
বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক রেমিট্যান্সেও সুখবর দিয়ে শেষ হয়েছিল ২০১৮ সাল। গত বছরে এক হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ (১৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন তারা। এই অংক ২০১৭ সালের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেকর্ড ১৫৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা এক মাসের হিসাবে রেকর্ড। রেমিট্যান্সের এই অংক গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
এর আগে এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৯ কোটি ২৪ লাখ ডলার; ২০১৪ সালের জুলাই মাসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী, গত রোববার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬ সালের পর রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামেনি।
এদিকে গত ১০ বছরে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন, গড় আয়ু বৃদ্ধি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস পাওয়ায় বেড়েছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। ইতোমধ্যে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রথম কৌশল হিসেবে বড় আকারের ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ, ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণ ও সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ। আর বিনিয়োগ বাড়াতে দ্বিতীয় কৌশল হলো বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা দূর করা। সম্প্রতি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, মেগা প্রকল্পগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে সরকার। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রতিটি প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে শেষ করার প্রস্তুতি রয়েছে সরকারের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ বিশেষ উদ্যোগের একটি ‘বিনিয়োগ বিকাশ’ কর্মসূচির ওপর জোর দিয়ে চলতি বাজেটেও প্রবৃদ্ধি সহায়ক খাতসমূহকে অগ্রাধিকার দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো খাত- বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, যোগাযোগ, বন্দর উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আইসিটি খাতে অধিকতর সম্পদ সঞ্চালন করা।
জানা গেছে, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ইতোমধ্যে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিনিয়োগের প্রধান বাধাগুলো কি, তা চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব বাধা দূর করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় শিল্পনীতিও বিনিয়োগবান্ধব করা হয়েছে। ভারত, চীন, জাপান ও কোরিয়ার বিনিয়োগ বাড়াতে ওই দেশগুলোর জন্য পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল সংরক্ষণ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। নতুন করে সউদী সরকার এ দেশে বড় বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি মাসেই সউদী সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। যদিও সেটি পরিবর্তন হয়েছে। আগামী মাসের (মার্চ) প্রথম সপ্তাহে তারা দু’জন বাংলাদেশে আসবেন। এই বিনিয়োগ এলে এবং মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন। এ ছাড়া, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নে ৩০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে আগামী ১৫ বছরে সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। এর ফলে দেশের রপ্তানি আয় বাড়বে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে প্রায় ১ কোটি মানুষের।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট এন্ড পলিসি সামিটের উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে আকর্ষণীয় স্থান উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে বিদেশিদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আপনাদের সক্রিয় অংশীদার হওয়ার এখনই যথার্থ সময়। বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারপারসন হিসেবে আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি, বাংলাদেশে আপনার বিনিয়োগ সুরক্ষিত ও বৃদ্ধি সুনিশ্চিত।
এছাড়া টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে নতুন সরকারের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি আনা, যথাযথভাবে কাজ শেষ করতে নজরদারি বাড়ানো, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নজরদারি বাড়ালে কাজের গতি বাড়বে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সার্বিক মূল্যায়ন নিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার সময়ে আমাদের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও একটি ভঙ্গুর অর্থনীতি ছিল। সে অবস্থা থেকে একধরনের টেকসই ভিত্তি তৈরি করা গেছে বর্তমান অর্থনীতিতে। যার ফলে আমাদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিক তৈরি হয়েছে। যেমন প্রবৃদ্ধির মাত্রাগুলো একটি গতি ধরে এগিয়েছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরে আমাদের চাওয়ার জায়গাটায় একটি পরিবর্তন এসেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (14)
পাগল পোলা ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম says : 0
I think credit should go to the opposition. Because they always criticise the govt for no reason. Go ahead...
Total Reply(0)
Moazzma H ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৬ এএম says : 0
১০ বছর ধরে বাংলাদেশে গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে 7 শতাংশ হারে। তবে গত 3 বছর সেটি ছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এটাই আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য |
Total Reply(0)
Nirmala shen ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৬ এএম says : 0
যেকোন দেশেই বড় বড় উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয় ব্যক্তি পর্যায়ে। আমেরিকায় যেমন গুগল, আ্যাপল, মাইক্রোসফট, ফেইসবুক সবই ব্যক্তি উদ্যোগ। এসব জায়াণ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিপুল রেভিনিউ দিয়েও আমেরিকার অর্থনীতি বড় একটি অংশ পরিচালিত হয়। কিন্তু ঐদেশে কেউ বলেনা এই ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের কারনেই আমেরিকা এত উন্নত, সরকারের কোন অবদান নেই। সরকারের যদি কোন অবদান নাই থাকে তবে ভাল/মন্দ বিচার করে লোকে কেন ৫ বছর পর পর সরকার পাল্টায়? বাংলাদেশের চিত্রও অনেকটা একইরকম, সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যুগের পর যুগ ধরে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি, বাণিজ্য, প্রযুক্তি, অর্থনীতি সহ নানা মন্ত্রনালয়ের নানা উদ্যোগে যেমন কিছু ইতিবাচক কাজ হচ্ছে তেমনি বিদ্যুত, সহ নানা অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারনে প্রযুক্তি, পোষাক শিল্প সহ নানা ভারী শিল্পপণ্যেরও আদর্শ পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে যার ইতিবাচক প্রভাবও পড়ছে অর্থনীতিতে। কাজেই যারা দেশের অগ্রগতিকে সন্দেহজনক ট্যাগ লাগিয়ে নানা ষড়যন্ত্রমূলক আচরন করে তারা দেশের শত্রু বলেই বিবেচিত হবে।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৮ এএম says : 0
প্রবৃদ্ধি উন্নইয়নের মাপকাঠি না। এটা কসমেটিক উন্নয়ন দেখাতে গেলে কাজে লাগে। বিশ্বে যত অগনান্ত্রিক দেশ আছে তাদের বেশির ভাগের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি। আর চীন বা ভারত ছাড়া বেশির ভাগের অবস্থাই খারাপ আর আসল ডাটা দেয়া হচ্ছে কিনা সন্দেহ। আজ পরযন্ত দেখলাম না কেউ দেশের নেট ইনকামের হিসাব দিলো। খরচকে হিসাবে নিয়ে মাথা ভারি করা হয়েছে।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৮ এএম says : 0
এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চের হালনাগাদ একটি প্রতিবেদন। এতে বিশ্ব অর্থনীতির প্রথম সারির ৭৫টি দেশ এখন থেকে এক যুগ পরে বা ২০৩০ সালে কে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার একটি প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। সেই প্রক্ষেপণ অনুসারে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যে কিনা আগামী এক যুগ তো বটেই, এমনকি তার চেয়ে কিছু বেশি সময় ধরে প্রতিবছর গড়ে ৭ শতাংশের বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে/ Great News for Bangladesh's progress, and sad news for the BNP-Jamati hooligans who wanted to tarnish country's progress by petrol and militants.
Total Reply(0)
সাহেদ শফি ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 0
GDP is not a good indicator to assess the progress of a society. It is a bluff. If one takes in to account the loss caused by environmental pollution the real GDP stands at 3% or less. GDP is an obsolete index
Total Reply(0)
sienat ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 0
very good news! but bnp will never believe this
Total Reply(0)
shaker ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫০ এএম says : 0
বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাক দোয়া ও প্রত্যাশা রইলো । মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে একটা অস্হিতিশীল অবস্হা বিরাজ করছে তাতে প্রবাশী রিমিটেন্সে একটা ঘাটা পড়তে পারে হয়তো প্রত্যাশীত রিমিটেন্স না আসতে পারে । আর রাজনৈতিকবস্হার পরিবর্তন হওয়া উচিত.
Total Reply(0)
Prodip ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫০ এএম says : 0
এই বাংলাদেশ ই চেয়েছিলাম ।
Total Reply(0)
Shazzadul Islam Sahil ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
দেশ প্রেমিক যোগ্য নেতৃত্বের হাতে দেশ তাই সার্বিক বিবেচনায় সঠিক সিদ্দান্তে সরকার দেশকে সঠিক পথেই এগিয়ে নিবে নতুন বছরে এই প্রত্যাশায়, জয় বাংলা!
Total Reply(0)
Salekin ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
কৃষকের কৃষি , খৃষকের মেয়ের গারমেন্ট , কৃষকের চেলের বিদেশি রেমিটেনস - এর বাইরে আমরা যাবো কবে ? আইটি এখনও হামাগুড়ি দিতে শুরু করে নাই , সত্যিকার ম্যানুফাকচারিং শিলপ নাই । আশাবাদী হতে চাই কিন্তু আমাদের অরথনৈতিক ভিত এখনও খুবই দুরবল । ১ কোটি মানুষ বিদেশে থাকে অথচ আমাদের বিমানের অবসথা গাবতলী রুটের বাসের মত ! শুধু বিমন যদি সফল হত তাহলেই বিমানের সাথে সাথে ট্যুরিজম , ক্যুরিয়ার , হিমায়িত খাদ্য, ফুল এসবের ব্যবসা গড়ে উঠত । আশা করছি দেশীয় বিনিয়োগ বাড়বে , রাজনৈতিক সথিতিশীলতা আসবে আর জংগীবাদ বিলুপত হবে ।
Total Reply(0)
MD SOHAN ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
আশা করি দেশ আরও এগিয়ে যাবে।
Total Reply(0)
ash ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:৪৪ এএম says : 0
DESH ER WNNOONER JONNY SHENABAHINIKE ARO JORITO KORA WCHITH. DESHER SHATHE TO KONO JUDHO NAI, SHENABAHINI TO SHUE-BOSHE E THAKE, KENO TADER DESHER WNNOONE JORITO KORA JABE NA ?? AI BANGLADESH TO ODER O TAI NA?? SHENABAHINI R JOAN-KORMOKORTARA JODI AK AK EPZ GULOKE NIJEDER AYOTTE NIE WNNOON KORE KHUB TARATARI TARA SHOMPURNO KORTE PARBE (DETA DESHER JONNY MILE FOLOK HOBE) DESHER RASTA, BRIDGE, NODIER BAD, NODI KHONON E SHOB E SHENABAHINIR AWTAY ENE WNNOON KORA WCHITH , TATE JEMON JOLDI KAJ SHUMPURNO HOBE TEMON E TEKSHOI E HOBE 10 GUN
Total Reply(0)
Babul ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:০৯ এএম says : 0
Good Report. This achievement credit for all people's.....
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন