বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা শঙ্কার কথা বলে আসছে। অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে এবার সতর্কবার্তা উচ্চারণ করলো জাতিসংঘও। জাতিসংঘ বলেছে, বিশ্ব ‘মন্দার দ্বারপ্রান্তে’ এবং এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলো মন্দার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনে আঙ্কটাডের মতে, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর মুদ্রা ও রাজস্বনীতি, সুদের হার বৃদ্ধিসহ নানাবিধ কারণ বিশ্বকে একটি বৈশ্বিক মন্দা ও স্থবিরতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আঙ্কটাডের বাণিজ্য ও উন্নয়ন প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যে, ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকট এবং ২০২০ সালে করোনা মহামারি সংকট এবার আরও ঘনীভূত হতে পারে। এতে আরও বলা হয়েছে, সব অঞ্চল প্রভাবিত হবে, তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে বেশি বিপদের ঘণ্টা বাজছে, যার মধ্যে অনেকগুলো ঋণ খেলাপির কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। এর মহাসচিব গ্রিনস্প্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ আমাদের সতর্ক করা দরকার যে আমরা একটি নীতি-প্ররোচিত বৈশ্বিক মন্দার দ্বারপ্রান্তে’। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনো মন্দার প্রান্ত থেকে ফিরে আসার সময় আছে। কিছুই অনিবার্য নয়। আমাদের অবশ্যই পথ পরিবর্তন করতে হবে’। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা আরও বাস্তবসম্মত নীতির মিশ্রণের আহŸান জানাই। আমি আবারও বলছি, আরও বাস্তবসম্মত নীতির মিশ্রণ, পণ্যমূল্যের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাতে আমাদের আরও বেশি প্রচেষ্টা চালাতে হবে’। সংস্থাটি জানায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ বছরের সুদের হার বৃদ্ধি চীন ব্যতীত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আনুমানিক ৩৬০ বিলিয়ন ডলার আয় হ্রাস পাবে। উন্নত অর্থনীতিতে সুদের হার বৃদ্ধির কারণে প্রায় ৯০টি উন্নয়নশীল দেশের মুদ্রা এবছর ডলারের বিপরীতে দুর্বল হয়েছে।
বিগত ১৩/১৪ বছরের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি বেশ চাপে পড়েছে। এর মূল কারণ হিসেবে দুই বছরের মহামারী করোনা ও স¤প্রতি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়াই মূল কারণ হিসেবে অনেকেই দায়ী করছেন, যার নেতিবাচক প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতেও দৃশ্যমান। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই দুটি সংকট ছাড়াও আরো কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে যারা কাজ করেন তারা সামষ্টিক অর্থনীতির শঙ্কার কথা বলছেন। এটা মানতেই হবে করোনা আমাদের দেশের শিল্প, ব্যবসা, বাণিজ্য শিক্ষা ও অর্থনীতির চাকাকে অনেকটাই স্থবির করে দিয়েছিল। যখন অর্থনীতির চাকা সচল হতে শুরু করলো জীবন-যাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গতির সঞ্চার হতে শুরু করলো তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সারাবিশ্বের ন্যায় আমাদের অর্থনীতিতেও একটি বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। যা বলছিলাম, শুধু করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আমাদের দেশের অর্থনীতি সঙ্কটে নয় বরং এর পেছনে রয়েছে দুর্নীতি, আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, অর্থপাচার ও সুশাসনের অভাব। আমরা জানি, যে কোনো সঙ্কট মোকাবেলা করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ধাপ হলো সমস্যাকে স্বীকার করা, সমস্যার পেছনের কারণসমূহ চিহ্নিত করা এবং সমস্যার সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অর্থনীতিবিদরা কিছুদিন যাবৎ দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি যে ভালো নেই তা বলার পাশাপাশি করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সচেতন করার চেষ্টা করে আসছেন।
সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যে তাঁদের কথায় খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন তা বলা যাবে না। আবার অর্থনীতি যে খুব একটা ভালো নেই তা স্বীকারও করতে চায় না। আবার কেউ কেউ বরং দেশের অর্থনীতিকে সিঙ্গাপুরের সাথে তুলনা করে আত্মতুষ্টির ঢেকুর তুলছেন। ইদানিং অবশ্য সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সম্ভাব্য বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কথা স্বীকার করতে শুরু করেছেন। এখন অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ মন্দার কারণ চিহ্নিত করে তা প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমরা সম্ভাব্য সকল প্রকার অর্থনৈতিক ঝুঁকি থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি। তবে একটি বিষয় আমাদের মনে রাখা দরকার যে, যেকোন দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ চারটি খাত হলো, সেবাখাত, রপ্তানিখাত, রেমিটেন্স ও কৃষিখাত। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কৃষি বাদে অন্য তিনটি খাতই এই মুহূর্তে ঋণাত্মক ধারায় রয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে, রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক ধারা শুরু হয়েছে। কৃষি এখন পর্যন্ত ধনাত্মক ধারায় থাকলেও তা ২০২৩ সালে যে পজিটিভ ধারায় থাকবে তা কিন্তু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, কৃষিতে ব্যবহৃত প্রতিটি উপকরণের দাম অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজেলের দাম বেড়েছে, সার ও কীটনাশকের মূল্যবৃদ্ধি এ শঙ্কাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। সিলেট অঞ্চলে পরপর দুটি বন্যায় কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলে অনাবৃষ্টি আমন উৎপাদন দারুণভাবে ব্যাহত করেছে। ফলে ধরেই নেওয়া যায় কৃষিক্ষেত্রে এই ধনাত্মক ধারাটি আগামী বছর অব্যাহত নাও থাকতে পারে। দেশের প্রধান রপ্তানি খাত গার্মেন্ট শিল্পে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্রেতাশূন্যতা লক্ষ করা যাচ্ছে। ওয়ালমার্টসহ বিশ্বের বড় বড় ক্রেতারা তাদের ক্রয়াদেশ অনেক ক্ষেত্রে স্থগিত করে দিয়েছে, অন্যদিকে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা নতুন করে ক্রয়াদেশ প্রদান থেকে বিরত থাকছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে গার্মেন্টস শিল্পের অবস্থা এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। বলছি না, আতঙ্কিত হবার মতো কিছু হয়েছে। তবে গার্মেন্ট খাত খুব একটা স্বস্তিতে নেই। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরেকটি খাত হলো রেমিটেন্স। কিন্তু বৈধ পন্থায় প্রবাসীরা দেশে ডলার পাঠাতে উৎসাহবোধ করছে না। কারণ, বৈধপথে ডলার পাঠালে একজন প্রবাসী যেখানে ডলার প্রতি ১০৭-১০৮ টাকা করে পাবে সেখানে হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় পাঠালে ১১৪ থেকে ১১৭ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অবৈধ পন্থায় দেশে ডলার পাঠাতে উৎসাহবোধ করছে। ফলে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আসা বৈদেশিক মুদ্রা জাতীয় অর্থনীতিতে কোনো ভূমিকাই রাখছে না এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। সহসাই এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে সেটা বলার মতো পরিস্থিতি এখনও সৃষ্টি হয়নি।
দেশের সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থব্যবস্থা বিগত ১৩/১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে। ডলারের দাম বৃদ্ধি, টাকার মূল্যমান কমে যাওয়া এই চাপকে সংকটে পরিণত করেছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি আমদানি পণ্যের দাম বহুলাংশে বেড়ে গেছে। মূলত বাংলাদেশ আমদানি করে বেশি কিন্তু রপ্তানি করে অনেক কম। ফলে আমদানি ব্যয় বৈদেশিক মুদ্রায় মিটাতে হয় বলে সংগত কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ এই মুহূর্তে খানিকটা কমে গেছে। দেশে বাণিজ্য ঘাটতি ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর্থিক খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা দেশে-বিদেশে জাতি হিসেবে আমাদের ভাবমূর্তিকে দারুণভাবে ক্ষুণœ করেছে। পাচারকৃত টাকা জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরে আনার অনৈতিক সুযোগ বাজেটে দেয়া হলেও বলার মতো কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। দেশে প্রায় দুই কোটি শিক্ষিত যুবক বেকার। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ মোটেই সন্তোষজনক নয়। দেশে প্রত্যাশিত মাত্রায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায়নি। ফলে তাদের মেধাকে জাতীয় উন্নয়নে কাজে লাগানো যায়নি। মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী ধারা মানুষের ক্রয়ক্ষমতাকে কমিয়ে দিয়েছে। মুল্যস্ফীতির ফলে প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। খেটে খাওয়া মানুষ নিদারুণ কষ্টে আছে। কোভিডের দু’বছর মানুষ তাদের সঞ্চয় ভেঙ্গে পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ করলেও এখন তা আর সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাধ্য ব্যয় সমন্বয় করতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অনেটা কমে গেছে।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিরুৎসাহিত করা খুবই জরুরি। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় পুরোপুরি বন্ধ করা, অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার লাগাম টেনে ধরা, দুর্নীতিকে কঠোর হস্তে দমন করা এবং দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার বিকল্প নেই। এছাড়া আর্থিক খাতের সংস্কারে আলাদা কমিশন গঠন করে অনিয়ম, অর্থপাচার রোধ করা জরুরি। আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ছাড়া এখাতের উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়। আরেকটি তথ্য এখানে উল্লেখ করা যায় যে, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদানে তেমনটা আগ্রহ না দেখালেও বড় বড় শিল্প গ্রæপকে ঋণ প্রদানে তারা বেশ আগ্রহী। এর ফলে প্রান্তিক জনপদে শিল্পের প্রসার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশে খেলাপি ঋণের কালচার তৈরি হয়েছে এবং তার পরিমাণ এই মুহূর্তে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার মতো, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সরকার এই খেলাপি ঋণ আদায় করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করা সত্তে¡ও বলার মতো কোনো সুফল যে পাওয়া যায়নি তা বলাই যায়। এদিকে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। সেই পাচারকৃত টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ সফল হয়নি। মূল্যস্ফীতি মানুষকে চাপে ফেলে দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বেই মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ঊর্ধ্বমুখী। এই মূল্যস্ফীতির ফলে ইউরোপ এবং আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশে প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ কষ্টে আছে। বাংলাদেশ এই সংকট থেকে মুক্ত নয়।
দেশে এই মুহূর্তে কম-বেশি ৪ কোটির মতো লোক আয়কর প্রদানে সক্ষম হলেও মাত্র ২৮ লক্ষ বা তার কিছু কমবেশি মানুষ আয়কর রিটার্ন প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশে ট্যাক্স জিডিপি রেসিও বিশ্বের মধ্যে শেষের দিক থেকে দ্বিতীয়। এই হার ১০ শতাংশের ঘরে। অথচ, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমরা এই হারকে ১৪-১৫ শতাংশে নিতে পারিনি। রাজস্ব বিভাগের অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা ও ক্ষেত্র বিশেষে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে দেশে ট্যাক্স ফাঁকি দেবার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজস্ব আদায় কম হবার কারণে বাজেটের ঘাটতি মেটাতে প্রতিবছর দেশি বিদেশি উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ করতে হয়। ঋণের টাকা বছর শেষে সুদসহ পরিশোধ করতে হয় বলে অর্থনীতির ওপর চাপ পড়ে। দেশের অর্থনীতি আরেকটি কারণে চাপে পড়তে পারে। আমরা জানি যে, আমাদের দেশে অনেকগুলা মেগা প্রকল্প বৈদেশিক ঋণে নির্মিত হচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু টানেল ও মেট্রোরেল প্রকল্প। এসমস্ত প্রকল্পের জন্য গৃহীত বৈদেশিক ঋণের টাকার কিস্তি সুদসহ ২০২৩ থেকে পরিশোধ শুরু হবে এবং তা করতে হবে বৈদেশিক মুদ্রায়।
এমতাবস্থায়, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে হবে, বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, বিনিয়োগ হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং সর্বোপরি অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরি। বিদ্যুৎতে সহসা কোনো সুখবর নেই, দীর্ঘদিন যাবৎ গ্যাস অনুসন্ধান ও আহরণে সরকারের দৃশ্যমান কোনো কর্মকান্ড চোখে পড়েনি। ফলে জ্বালানিতে আমদানি নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বালানিতে সহসা স্বস্তি ফিরে আসবে তাও নয়। এমন একটি অবস্থায় অপচয়, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি রোধ করতে হবে। অর্থপাচারের লাগাম টেনে ধরতে হবে। কৃষিকে যে কোনো মূল্যে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। যেহেতু মন্দা মোকাবিলার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে হবে।
লেখক: প্রফেসর, আইবিএ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
drhasnat77@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন