মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঝিনাইদহের ২০ বছর বয়সী চম্পা খাতুন এখনো শিশু !

ঝিনাইদহ থেকে মোস্তফা মাজেদ | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:৪৭ পিএম

২০ বছর বয়সী চম্পা খাতুন “শিশু” কেবল হাসতে আর কাঁদতে পারে। তার স্থান এখনো মায়ের কোলে। হাটতে পারে না। বয়স বাড়লেও বাড়েনি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। নেই শরীরের কোন পরিবর্তন। যে বয়সে পড়ালেখা বা বিয়ের রঙ্গিন স্বপ্ন থাকার কথা সেই বয়সেও চম্পা মানুষের কোলে চেপে বসে থাকে। বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী হিসেবে সমাজসেবা থেকে তার নাম নিবন্ধিত (নিবন্ধন নং ১৯৯৯৪৪১১৯৮৯৯৮৯৭৯০-১১) হলেও এখনো ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড। চম্পা খাতুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের বংকিরা গ্রামের হাসেম মোল্লার ছেলে। চম্পা খাতুনের মা মিনুয়ারা বেগম জানান, ১৯৯৯ সালের ২৮ এপ্রিল চম্পা খাতুনের জন্ম। জন্মের পর থেকে সে বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী। আচরণ করে শিশুর মতো। কোন কথা বলতে পারে না। কেবল হাসতে আর কাঁদতে পারে। সারাক্ষণ মানুষের কোলে কোলেই তার দিন কাটে। বড় বোন ময়না খাতুন জানান, ২০ বছর বয়স হলেও চম্পা এখনো শিশুর মতোই রয়ে গেছে। তার পিতা হাসেম মোল্লার মেয়েকে চিকিৎসা করানোর মতো সঙ্গতি নেই। এ জন্য তারা চম্পার জন্য একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সমাজসেবা থেকে ২০১৬ সালে প্রতিবন্ধী হিসেবে চম্পার নাম নিবন্ধিত হলেও সেখানে মোছাঃ চম্পার খাতুনের স্থলে ভুলক্রমে মোঃ চাকমা খাতুন লেখা হয়েছে। নাম সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও ময়না খাতুন জানান। প্রতিবন্ধী ভাতা না হওয়া প্রসঙ্গে এলাকার ইউপি মেম্বর এনামুল হক ডালু বলেন, বছরে দুইটি কার্ড পায়। কার রেখে কার দেব ? তবে পর্যায়ক্রমে চম্পা খাতুনকেও দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। ২০ বছর বয়সী চম্পা খাতুন এখনো “শিশু” থাকার বিষয়ে ঝিনাইদহের প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক ডাঃ দুলাল কুমার চক্রবর্তী জানান, অনেক সময় মস্তিষ্কের অসম্পূর্ণ গঠনে এমনটি হতে পারে। তারপরও জন্মের পর থেকে শিশুটির ইতিহাস পর্যালোচনা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন