আফগান রাজনীতিতে তালিবান চূড়ান্ত কথা বলার সক্ষমতা অর্জন করতে পারলে তারা পাকিস্তানকে ‘ভাই ও প্রতিবেশী’ হিসেবে গ্রহণ করবে। রোববার ডন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে এই কথা জানিয়ে তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, অন্য দেশের মতো পাকিস্তানের সাথেও ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে ব্যাপকভিত্তিক’ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় তালিবান।
সাক্ষাতকারে মুজাহিদ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা নিয়ে বলেন, তালিবান পক্ষ তাদের উদ্যোগেই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে। এমনকি মার্কিন অভিযানের আগেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি যুদ্ধের বদলে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল তালিবান। তিনি জানান, এই উদ্দেশ্যেই ২০১৩ সালে কাতারে একটি অফিস পর্যন্ত খোলা হয়েছিল। ওয়াশিংটন ওই সময় আলোচনার জন্য আগ্রহী ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র এখন আলোচনা করতে আগ্রহী, এ কারণেই তারা তাদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়েছে।
আলোচনার টেবিলে তালিবানকে আনার ব্যাপারে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুজাহিদ বলেন, বাইরের কোনো দেশেরই কোনো ভূমিকা ছিল না। আমরা নিজেদের উদ্যোগ ও নীতির আলোকেই আলোচনায় এসেছি। তিনি স্বীকার করেন, সোভিয়েত দখলদারিত্বের সময়ে পাকিস্তান ছিল আফগান উদ্বাস্তুদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এমনকি আফগানরা পাকিস্তানকে দ্বিতীয় আবাসভূমিও বিবেচনা করে।
মুজাহিদ বলেন, আফগানিস্তানের নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থায় তালিবান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে তিনি এ ব্যাপারে এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে চান না। তিনি বলেন, আমরা যখন বলি, আরো একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিকব্যবস্থা চাই, তখন এ দিয়ে বোঝাই যে ভবিষ্যতের সরকারে আফগানিস্তানের সব জাতির প্রতিনিধিত্ব থাকবে। তিনি বলেন, আর কোনো বিরোধ ছাড়াই আমরা তা করতে পারব।
শরিয়ার আলোকে সংবিধানের ব্যাপারে মুখপাত্র বলেন, তালিবান এখনো কোনো লিখিত ইস্তেহার পেশ না করলেও দখলদারিত্বের অবসান হলে তারা ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। তিনি বলেন, বর্তমানে কাবুলে যে সংবিধান রয়েছে তা আমেরিকান দখলতারিত্ব ও স্বার্থের সাথে সংশ্লিষ্ট। কোনো দেশই এ ধরনের সংবিধান মেনে নিতে পারে না। তিনি বলেন, আমাদের সমাজ প্রায় ১০০ ভাগ মুসলিম। আমাদের সংবিধান হবে শরিয়ার আলোকে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন