রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, যে দেশ রেল ব্যবস্থায় যতো উন্নত, সে দেশ ততো বেশি উন্নত। রেলে পণ্য পরিবহন তুলনামূলক সাশ্রয়ী। দেশের প্রতিটি জেলায় আমরা রেল পৌঁছে দেবো। গতকাল বুধবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে পদ্মাসেতু প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ও সুবিধার চেক প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার রেলপথ, নৌপথ, আকাশপথ ও সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে সমানভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে রেলের ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। মানুষকে বেকার করে দেওয়া হয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্পে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেললাইন হবে। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। আরেকটি প্রকল্প হচ্ছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল সংযোগ। আমাদের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে রেল যুক্ত হবে। তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা ৬৭১ জন। যাদের টাইটেল ফিল্ড আছে তাদের সংখ্যা ৫৩৫ এবং নন টাইটেল ফিল্ড সংখ্যা ১১৮। এর মধ্যে বুধবার ১৭৫ জনকে আট কোটি ২৬ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি জেলায় রেলসংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন হলে দেশের জিডিপিতে ২ শতাংশ ও রেল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১ শতাংশ যুক্ত হবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওর (ডরপ) ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সারোওয়ার জাহান বাদশা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী রফিকুল আলম। প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সিএসসি’র প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ, ডরপ’র প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন