রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে। আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, এই রেলপথ নির্মাণের মধ্য দিয়ে মাগুরাবাসীর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। এছাড়া ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত যে রেল লাইন পদ্মা লিং সেটির কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এর পাশাপাশি ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে যাতে শেষ হয় সে পরিকল্পনা রয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার মাগুরা সদর উপজেলার রামনগর-ঠাকুরবাড়ি এলাকায় মাগুরা রেল স্টেশন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মাগুরার সাথে খুব সহজে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে রেল লাইনের মাধ্যমে ঢাকা যাওয়ার সুযোগও তৈরী হচ্ছে।
জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা মুন্সি রেজাউল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আসাদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু।
মন্ত্রী আরও বলেন, মাগুরা শহর থেকে কামারখালী হয়ে মধুখালী পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের ফলে রাজবাড়ি দিয়ে কুষ্টিয়া, খুলনা-যশোর ও মংলা পর্যন্ত মাগুরাবাসী যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়া উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সাথে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে।
তিনি বলেন, বিগত সরকারগুলো রেলকে অবজ্ঞা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করে উন্নত ও সমৃদ্ধ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি জেলার সাথে আমরা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারিত করছি।
রেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর যে ঘটনা ঘটে এটি আমরা কেউ কামনা করি না। দুর্ঘটনা রেলে হোক বা সড়কে হোক এর জন্য কে দায়ী সেটি নিয়ে বিতর্ক না করে, কিভাবে নিরাপত্তা দেয়া যায়,সে ব্যাপারে আমাদের চিন্তা ভাবনা করতে হবে। এ ধরনের দুর্ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে এড়ানো যায় এর জন্য যেখানে যতোটুকু দায়িত্ব পালন করা দরকার সেই দায়িত্বটুকু আমাদের যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, এ প্রকল্পের আওতায় মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ১২শ’ দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯.৯০ কিলোমিটার মেইন রেল লাইন নির্মাণ, কামারখালী ও মাগুরা স্টেশন ইয়ার্ডে ৪.৯ কিলোমিটার পুল লাইন নির্মাণ, দুটি নতুন স্টেশন নির্মাণ (কামারখালী ও মাগুরা) ছোট বড় ২৮টি সেতু ও কালর্ভাট নির্মাণ কার্যক্রম চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন