আন্তঃনগর ট্রেনে খাবার সরবরাহ এবং রেল পানি আবারও বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে সব আন্তঃনগর ট্রেনে খাবার সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্যাটারিং নীতিমালা ২০২০ অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, সে অনুযায়ী ক্যাটারিং সার্ভিস পরিচালিত হবে। পর্যটন করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সোনার বাংলা ট্রেনে বিআরসিটিসি’র মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রেল ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রেলমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন ওঠায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ও বুয়েট থেকে রেল পানি পরীক্ষা করানো হয়েছে। তারা সনদ দিয়েছে এ পানি পানের উপযুক্ত। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে রেল অঙ্গনে আবারও রেল পানি বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পানির মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো- বাজারে বহুল প্রচলিত শ্যামলী ড্রিংকিং ওয়াটার, শ্যামলী ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত পানি বিএসটিআই এবং বুয়েট কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত বোতলজাত পানি। একই ফ্যাক্টরিতে প্রস্তুতকৃত একই পানি রি-ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে মাত্র। অর্থাৎ রেলওয়ের জন্য ব্যবহৃত বোতলে শ্যামলী নামের পরিবর্তে কেবল লেবেল পরিবর্তন করে রেল পানি নামকরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন