রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়েই বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ রেলের কাজ সম্পন্ন হবে। পদ্মা সেতু আগামী বছরের জুনে খুলে দেয়া হবে। যদি কোনো কারণে আমরা একই দিনে রেল উদ্বোধন করতে না পারি, তাহলে আগামী বছরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে সেতুর ওপর দিয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালু করার জন্য খুলে দিতে পারব।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে রেল লিংকের ভায়াডেক্ট-টুতে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে সড়ক নির্মাণ, বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য মার্চের আগে রেল পথের কাজ শুরু অনুমতি দিতে চাচ্ছে না সেতু কর্তৃপক্ষ। আর রেলপথের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ছয় মাস। ফলে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। তাই সেতুর সড়ক ও রেলপথ একইসঙ্গে উদ্বোধন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি সেতু কর্তৃৃপক্ষকে রাজি করাতে। যেন দুটি কাজ একসাথেই শেষ করা যায়।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, দুটি প্রকল্প একসাথে কাজ শেষ করতে না পারলে, রেললাইনের কাজ করতে সমস্যা হবে। কেননা, সেতুতে যান চলাচল শুর করলে যে ভাইব্রেশন বা কম্পন হবে, তাতে রেলপথের ঢালাইয়ের জটিলতা হবে।
সেই ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ পেছাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রেলপথের জন্য মূল সেতুর উদ্বোধন পেছাক, সেটা চাই না। তবে একসাথে কাজ শেষ করতে না পারলে রেল পথ নির্মাণে সমস্যা হবে।
তিনি আরো বলেন, ভাঙ্গা থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত ৭১ ভাগ ও ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪০ ভাগ রেলওয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মা সেতুর সড়ক যোগাযোগের সঙ্গেই রেল পথ খুলে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। টেকনিক্যাল কারণে সেটা বিলম্ব হলে দ্বিতীয় একটি পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হবে। আর ৩০ জুন ২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল পথ চালু হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিজি ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, মেজর জেনারেল জাহিদুল, পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল আউয়াল, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন