বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কেরানীগঞ্জে কসমেটিকস ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যা

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:১২ পিএম

ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক কসমেটিকস ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যবসায়ীর নাম মোঃ আক্তার হোসেন (৬০)। তার বাবার নাম মৃত আজিজ ঢালী।বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া মধ্য পাড়া এলাকায়। রাজধানী ঢাকার জুরাইনে সেতু মার্কেটে তারএকটি কসমেটিকেসর দোকান রয়েছে।দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ গত সোমবার(০১মার্চ) গভীর রাতে কোন্ডা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকায় একটি কলাবাগানের ভিতর থেকে নিহতের লাশ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে। আজ মঙ্গলবার (০২মার্চ)সকালে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,নিহত কসমেটিকস ব্যাবসায়ী আক্তার হোসেনের দোকানের কর্মচারী রাবিক হোসেন পূর্বপরিকল্পিতভাবে মোটা অংকের টাকার জন্য আক্তার হোসেনকে অপহরনের পরিকল্পনা করে।এই সুত্রধরেই রাকিব হোসেন গত শনিবার( ৩০মাচর্)রাতে তার মালিক আক্তার হোসেনকে বলে যে তার মায়ের সাথে তার ঝগড়া হয়েছে।তাকে তাদের বাড়িতে যেয়ে মায়ের সাথে ঝগড়া মিটাতে হবে। এই মিথ্যা কথা বলে দোকান কর্মচারী রাকিব নিহত আক্তার হোসেনকে তার দোকান থেকে একটি সিএনজি অটোরিকসাযোগে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের মির্জাপুর এলাকায় একটি কলা বাগানের ভিতর নিয়ে যায়। এসময় রাকিব ও তার সহযোগীরা আক্তার হোসেনের পকেটে থাকা প্রায় ১৬হাজার টাকা নেয়ার জন্য দস্তাধস্তি করে। একপর্যায়ে রাকিব ও তার সহযোগীরা আক্তার হোসেনের হাত-পা বেঁধে ফেলে । পরে তাকে স্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশটি ফেলে পালিয়ে যায়। নিহত ব্যাবসায়ী আক্তার হোসেন শনিবার রাতে দোকান বন্ধ করে দোকান কর্মচারী রাকিব হোসেনের বাড়ি যাওয়ার কথা তার ছেলে রাজিবকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলেন।আক্তার হোসেন বাড়িতে পৌছতে দেড়ি হওয়ায় এবং তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজির পর রবিবার থানায় একটি অভিযোগ দেয় ছেলে রাজিব । এই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাকিব হোসেনকে ইস্টার্ন বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়। রাকিবের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোমবার গভীর রাতে মির্জাপুর এলাকায় একটি কলাবাগানের ভিতর থেকে আক্তার হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের ছেলে রাজিব হোসেন জানান, তার বাবা তাকে মোবাইল ফোনে বলেছিলেন,রাকিবের মায়ের সাথে তার ঝগড়া হয়েছে। এই ঝগড়া মিটানোর জন্য তাই আমি দোকান বন্ধ করে রাকিবের সাথে তাদের বাড়িতে যাচ্ছি। সমস্যা সমাধান করে বাসায় ফিরব।তার পর থেকে বাবা নিখোঁজ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন