নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মদ পান করে মাতলামি করার সময় মাতালরা নির্মল দাস নামে এক ভ্যান চালককে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ভক্তবাড়ি ঋষিপাড়া এলাকায় ঘটে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা। নিহত নির্মল দাস রূপগঞ্জ ইউনিয়নে ব্রাক্ষণখালী এলাকার কালি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি একজন ভ্যানচালক ছিলেন।
নিহত নির্মল দাসের শ্বশুর অশোক চন্দ্র দাস জানান, ব্রাক্ষণখালী ও ভক্তবাড়ি ঋষিপাড়া এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরেই নিকু চন্দ্র দাস নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরে চোলাই মদ তৈরিসহ বিক্রি করে আসছেন। গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে নিকু চন্দ্র দানের কাছ থেকে চোলাই মদ ক্রয় করে ভক্তবাড়ি ঋষিপাড়া এলাকার একটি ঘরে মদ পান করছিলেন নির্মল চন্দ্র দাস, ব্রাক্ষণখালী এলাকার শ্রী চরণ দাসের ছেলে নিমাই চন্দ্র দাস, সেন্টু দাসের ছেলে বিমল চন্দ্র দাসহ ৪ থেকে ৫ জন। এসময় মদ পান করে তারা মাতলামি শুরু করে। এক পর্যায়ে মাতাল নিমাই চন্দ্র দাস, বিমল চন্দ্র দাসসহ ৪ জন মিলে নির্মল দাসকে ঘুষি মারে। এক পর্যায়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় নির্মলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে নির্মল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মারা যান। ঘটনার পর থেকেই মদ বিক্রেতা নিকুসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।
নির্মলের ভাই শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, তার ভাই নির্মল চন্দ্র দাসকে মাতাল নিমাই চন্দ্র দাস, বিমল চন্দ্র দাসসহ ৪ জন মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ হত্যার বিচার দাবি করেছেন তিনি। স্ত্রী ঝুনু রানী দাস বলেন, ব্যাটারিচালিত ভ্যান চলতে না দেয়ায় গত এক মাস ধরে স্বামী নির্মল চন্দ্র দাস বেকার রয়েছে। ওই মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীরা নির্মল চন্দ্র দাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মদ পান করিয়ে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, এ ধরনের ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখান থেকে পুলিশ নির্মলের চন্দ্র দাসের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন