চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ভবন নির্মাণে গণপূর্ত অধিদপ্তরের টেন্ডার নিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার আগ্রাবাদে সিজিএস বিল্ডিং-১ এ গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. ইলয়াছ (২৮), রাতুল হাসান রানা (২৪), সজীব খন্দকার (২৩), হাসান মুরাদ (৩২), আবুল মনছুর (২৯), শাহ মোহাম্মদ (৩২), সামশুদ্দিন (৩৯), ফাইজুল ইসলাম (২২), মো. জামশেদ (২৫), মো. জালাল (৩৫), ফয়সাল খান (২০), মো. ইউসুফ (১৮), মো. রাকিব (১৯), জসীম উদ্দিন (৩৮) ও মো. নুরুন্নবী (২৯)। তাদের মধ্যে ইলিয়াছ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।
ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, লালদীঘির পাড়ে সিএমপি ভবন নির্মাণের একাংশের কাজের টেন্ডার নিয়ে ঠিকাদারদের দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখান থেকে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের ১৫১ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে জামশেদের বিরুদ্ধে আগের চারটি, হাসান মুরাদ, মনছুর, জালাল ও জসিমের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা ছিল বলেও জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লালদীঘির পুলিশের সদর দপ্তরে বহুতল ভবন নির্মাণের একাংশের দরপত্র নিয়ে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। দরপত্র পেতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই নেতার চেষ্টা ছিল। এরমধ্যে দরপত্রটি পান পাঠানটুলী ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মোস্তফা কামাল টিপু। দুপুরে টিপু তার অনুসারীদের নিয়ে সিজিএস বিল্ডিং-১ এ গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে তার বিরোধী পক্ষ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পারভেজের অনুসারীরাও জড়ো হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ এবং কার্যালয়ের বাইরেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, মোস্তফা কামাল টিপু সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। অন্যদিকে তার প্রতিপক্ষ পারভেজ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চুর অনুসারী। এ গ্রæপটি দীর্ঘদিন ধরে গণপূর্তের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন