শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ক্রমবর্ধমান অপরাধ দমনে শরীয়া আইন প্রবর্তন করুন : মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বর্তমানে দেশে বিরাজমান অপহরণ, গুম, খুন, হাইজ্যাক, ইভটিজিং, নারী ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপের মতো অসামাজিক কার্যকলাপসহ ক্রমবর্ধমান অপরাধ দমনে ইসলামী আইন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে এক বিবৃেিত বলেছেন যে, ইসলামী আইনের প্রতি ধর্মগত বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধের কারণে মানুষ স্বশাসিত হয়।
তিনি অসামাজিক কার্যকলাপ ও অপরাধ প্রবনতা অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সমাজে ঘুষ-দুর্নীতি ও মাস্তানদের অবাধ পদচারণার সুযোগ, বিষ ফোঁরার মতো ভিসিআর, নগ্ন ও অশ্ল­ীল ছায়া ছবি প্রদর্শন, পর্ণ ও রম্য পত্র-পত্রিকা, চলচ্চিত্রের প্রসার, সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ও মাদক দ্রব্যের সহজলভ্যতায় মানুষের কুপ্রবৃত্তিকে জাগিয়ে তোলাই দেশে অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধির জন্যে দায়ী। তাই আজ ভেসে আসছে এসব অপরাধের শিকার মজলুমদের আর্ত চিৎকার, আঘাত হানছে আকাশের দ্বারে উৎপীড়িতদের আহাজারী। শুরু হচ্ছে সর্বত্র নৈতিক অবক্ষয়। অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং অপসংস্কৃতির পথ প্রশস্ত হচ্ছে। ফলে অপরাধ প্রবনতা বেড়ে চলেছে।
তিনি বলেন, ইসলামী আইন মানুষের অপরাধ বিরোধী চেতনাকে শাণিত, উজ্জীবিত ও উদ্দিপ্ত করতে পারে অনায়াসে। এই আইন মানুষের মনে বিরাজমান নৈরাজ্যের উন্নতি ঘটাতে, সমাজের মনোভূমিতে শৃংখলা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মানুষের মনে অন্যায়ের পরিবর্তে ন্যায়বোধ, বিশৃংখলার পরিবর্তে শৃংখলা, শিষ্টাচার ও মানুষকে অপরাধ প্রবনতা থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে ইসলামী আইনের অবদান অনস্বাীকার্য । তিনি আরো বলেন, শুধু ইসলামী আইন ভিত্তিক বিচার ব্যবস্থাই পারে অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Belal Ahmed ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:৩০ এএম says : 0
বল্লেই হবেনা! তা বাস্তবায়ন করতে হলে আলেমসমাজ রাজনীতির মাঠে এগিয়ে আসতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন