মৌসুমের প্রথম লিচু। দেখতে যেমন, খেতেও তেমন দারুণ। টসটসে রসালো এই ফল দেখা গেল লালদীঘির বৈশাখী মেলায়। ঐহিত্যবাহী আবদুল জব্বারের ১১০তম বলীখেলাকে ঘিরে তিনদিনের মেলায় সেখানে গ্রামীণ আবহ। প্রতিবছরের মতো এবারও উঠেছে মৌসুমের আগাম লিচু। শুক্রবার প্রতি ১০০ লিচু বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়। বিক্রেতাদের দাবি, এগুলো বাঁশখালীর কালীপুরের আগাম জাতের লিচু।
লালদীঘির পূর্বপাড়ের হাবিব ব্যাংকের সামনে এক ঝুঁড়ি লিচু নিয়ে বসেছিলেন বিক্রেতা। টসটসে পাকা লিচু দেখে অনেকেই থমকে দাঁড়ান। জানতে চান দাম। বিক্রেতা প্রতি ১০০ লিচুর দাম হাঁকেন ৫০০ টাকা। দাম শুনে চলে যান বেশিরভাগ মানুষ। তবে বিক্রি করছেন ৪০০টাকায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পেছনে গোয়াছি বাগান থেকেও লিচু নিয়ে হাজির হন এক বিক্রেতা। তিনি জানান, পাকতে শুরু করেছে লিচু। রাজশাহী থেকেও এসেছেন কয়েকজন বিক্রেতা। মেলায় আগতরা জানান, লিচুসহ এই মৌসুমের প্রায় সব ফল পাওয়া যায় মেলায়। তরমুজ, বাঙ্গি, পাকা হলুদ শসা, ফরফরি, জামরুল আরও কত কী । তবে বরাবরের মতোই আগাম লিচু পাওয়া গেছে। যদিও লিচুর বিচিটা বড়, স্বাদও টক-মিষ্টি।
এদিকে গতকাল মেলার শেষদিনে ছিল প্রচন্ড ভিড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেলায় চলে কেনাবেচা। সকালে নারীদের ভিড় ছিল বেশি। তারা মেলা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা জিনিসপত্র সংগ্রহ করেন। দম ফেলার ফুরসত ছিলো না দোকানিদের। কেউ এক দামে বিক্রি করছেন। আবার কেউ দর কষাকষির সুযোগ রেখে দাম হাঁকছেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাজারো পদের পণ্যসামগ্রী এনেছেন দোকানিরা। মেলাজুড়েই শীতলপাটি, মাদুর, তালপাতা, বাঁশ, কাপড়, বেতসহ বিভিন্ন উপকরণে তৈরি হাতপাখা বিক্রি হচ্ছে। আসবাবপত্র থেকে শুরু করে খেলনা সবকিছ্ইু আছে মেলায়। চট্টগ্রামবাসী সারা বছর অপেক্ষায় থাকে এ মেলার জন্য। এখান থেকে সংসারের টুকিটাকি সব জিনিস সংগ্রহ করা যায়। প্রতিবছর বলী খেলাকে ঘিরে লালদীঘি ময়দান ও আশপাশের এলাকায় মেলা বসে। # র ই সেলিম ২৬/০৪/১৯ইং
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন