ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এড শফিকুল আজম খান চঞ্চলের বিশেষ বরাদ্দের ৬৬০ বস্তা চাল শনিবার দুপুরে জীবননগরে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ আটক করলেও কোটচাঁদপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সুপারিশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে এই চাল কোটচাঁদপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রকের যোগসাজসে প্রকল্পের সভাপতিরা উত্তোলন করে শনিবার বিক্রির জন্য জীবননগর নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় কোটচাঁদপুর ও জীবননগর সড়কের সিরামিক ফ্যাক্টরীর কাছে পুলিশ আটক করে। চাল আটকের বিষয়টি স্বীকার করেন কোটচাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ উদ্দীন। তিনি গনমাধ্যমকে বলেন বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও কোটচাঁদপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা বিষয়টি তদন্ত করে যদি কেও দোষি সব্যস্ত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাসে আটককৃত চাল ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ উদ্দীন উল্লেখ করেন। কিন্তু কোটচাঁদপুরের চাল কেন অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এ প্রশ্নের সদুত্তর কোন সরকারী কর্মকর্তা দিতে পারেন নি। বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুরের খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হাসান নাইম বলেন, শনিবার সাবদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশের আলী, এলাঙ্গীর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান ও বলুহরের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনসহ ৫ জনের নামে ৬৬০ বস্তা চাল উত্তোলন করা হয়। এই চাল এমপির বিশেষ বরাদ্দের। তিনি বলেন এই চাল কে কোথায় বিক্রি করছে তা আমার দেখার বিষয় না। বিষয়টি খোঁজ খবর নিতে কোটচাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোডাউনে এসেছিলেন বলেও জানান খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হাসান নাইম। এদিকে অভিযোগ উঠেছে ঈদ সামনে করে এমপির এই বিশেষ বরাদ্দ কাজ না করেই লোপট করা হতে পারে। এই জন্যই ভুয়া প্রকল্প বানিয়ে এই চাল উত্তোলন করে জীবননগর শহরে বিক্রির জন্য পাচার করা হচ্ছিল। সাবদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশের আলী বলেন, আমাদের কোন চাল বিক্রির জন্য জীবননগর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল না। তাছাড়া এমন খবর আমার জানাও নেই। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এড শফিকুল আজম খান চঞ্চল বলেন, এমনও হতে পারে কোন প্রকল্প সভাপতি হয়তো চাল বিক্রি করে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য চাল জীবননগর নিয়ে যাচ্ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন