২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত এই সাড়ে ৪ মাসে শেরপুর জেলায় অর্ধশতাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শিশু ও কিশোরীর সংখ্যা শতকরা ৬৬ জন। ধর্ষনের এই ঘটনায় বাদ যায়নি ৬/৭ বছরের শিশু থেকে শুরু করে প্রতিবন্ধি পর্যন্ত।এই তথ্য ধর্ষনের পর আইনি মোকাবেলার জন্য ভিকটিমদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার (সিভিল সার্জন অফিস) নিবন্ধন থেকে পাওয়া গেছে।
জানা গেছে এই বছরের শুরু থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ৫৫ জন নারী ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে।এর মধ্যে চলতি মাসের ১১ তারিখ নকলা উপজেলার ভূরর্দী ও মধ্য নকলায় একদিনে দুই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।দুই জনের মধ্যে একজনের বয়স ৬ ও অপরজনের বযস ৭।মা-বাবা নেই এতিম বুদ্ধি প্রতিবন্ধি আরেক তের বছরের কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে বিচারের দাবী করেছেন।মেয়ের দাদা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।জানা গেছে ভিকটিম এই ৫৫ জন নারীর মধ্যে অন্তত ৩৬ জন শিশু ও কিশোরী বাকীর ১৮ বছরের উর্ধ্বে। ধর্ষনের এই পরিমান দেখে শেরপুরের মানবাধিকার কর্মী ও নারী নেত্রী ডালিয়া সামাদ হতাশা ব্যক্ত করেছেন এবং শেরপুর কি ধর্ষণপুর হয়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্ন করেছেন। তিনি আরও বলেছেন মেয়েরা না ঘরে না বাইরে কোথাও নিরাপদ না।মেয়েদের বাঁচাতে চাইলে ছোট থেকেই লড়াকু মানুষিতা তৈরি করতে হবে বলে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। ধর্ষনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী ডাক্তার বলেছেন ধর্ষণ সংক্রান্ত এত সংখ্যক পরীক্ষা করতে বিব্রত হচ্ছি।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন বলেছেন ধর্ষণের অভিযোগ পেলেই পুলিশ সাথে সাথে ব্যবস্থা নিবে এমন নির্দেশনা রয়েছে।ধর্ষণের বিষয়ে পুলিশ জিরো টলারেন্স।শেরপুরে যত গুলো ধর্ষণের অীভযোগ রয়েছে পুলিশ সকলকে ধরে আইনের কাছে সোপর্দ করেছে।তিনি আরও বলেছেন এই বিষয়ে গনসচেতনতা বাড়াতে পুলিশ নানা কর্মসূচি চালাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন