আশুলিয়ায় বেপড়োয়া একটি অটোরিকশার ধাক্কায় শিরিন বেগম (৫৫) নামে এক পথচারী বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানার উত্তর সারুয়া গ্রামের মৃত সিদ্দিক হোসেনের মেয়ে।
সোমবার বিকালে নরশিংহপুর-কাশিমপুর শাখা সড়কের বাংলাবাজার স্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে এঘটনায় অটোরিকশা ও এর চালককে আটক করতে পারেনি পুলিশ। প্রতিনিয়ত বেপড়োয়া অটোরিকশা ও লেগুনার ধাক্কায় দুর্ঘটনা ঘটলেও ব্যাটারী চালিত এসব পরিবহন প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রনে থাকায় কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে আশুলিয়ার নরশিংহপুর-কাশিমপুর শাখা সড়কের বাংলাবাজার এলাকায় শিরিন বেগম নামে এক বৃদ্ধা রাস্তা পাড় হচ্ছিলেন। এসময় একটি বেপরোয়া গতির অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
স্থানীরা অভিযোগ করে বলেন, এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় প্রতিদিনি শত শত গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটিতে অটোরিকশা ও লেগুনা জাতীয় গণপরিবহনের সংখ্যা বেড়ে গেছে। আর এসব পরিবহন বেপড়োয়া গতিতে চলাচল করায় মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় এগুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
এব্যাপারে ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য বকুল হোসেন সরকার বলেন, ঐ সড়কের বিভিন্ন পরিবহন থেকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোহেল মোল্লা চাঁদা নেন।
তবে তার নিয়ন্ত্রিত অটোরিকশাটি সনাক্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আর অসাবধানতার কারণেই ঐ নারী অটোরিকশার ধাক্কায় মারা গেছেন। তবে অটোরিকশা থেকে তিনি কোন চাঁদা আদায় করেন না। কেবল সড়ক পরিষ্কারের জন্য প্রতিটি অটোরিকশা থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলনের করা হয় বলে জানান তিনি।
দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিরাজ হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে। এবিষয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন