ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নয়ারহাট ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় বংশী নদীর উভয় পাশ হতে অবৈধ বালু মহলসহ প্রায় ৫শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত।
এসময় বালু মহল উচ্ছেদকালে ধামরাই পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতারা বালু মহল রক্ষার চেষ্টা করেছেন বলে জানান ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নয়ারহাট ও ইসলামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সওজ অধিদপ্তরের উপ-সচিব মাহবুবুর রহমান ফারুকী।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ইসলামপুর ও নয়ারহাট বাজার এলাকায় উচ্ছেদ করা হয় প্রায় ৫ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা। এছাড়া ইসলামপুর এলাকায় বংশী নদীর তীরবর্তী অবৈধ বালুর গদি সরিয়ে ফেলতে সময় বেধে দেওয়া হয়। তবে এসময় ধামরাই উপজেলার পৌর মেয়র গোলাম কবির ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সাকু বাঁধা প্রদান করলে অভিযান বিলম্বিত হয়।
পরে দেড় ঘন্টা বাক্য বিনিময়ের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযান আবারো শুরু করেন।
পরে বংশী নদীর পূর্ব তীরে নয়ারহাট বাজারের অবৈধ বিভিন্ন স্থাপনা বুলডুজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামপুর এলাকার বালু ব্যবসায়িরা জানান, কিছু দিন পূর্বে বালু মহল টেন্ডারে নেওয়া হয়েছে এমন কথা বলে ধামরাই পৌর মেয়র সব গদি ব্যবসায়ির নিকট থেকে ৮০ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু আজ ভ্রাম্যমান আদালত কেন অভিযান চালাচ্ছে তা আমরা বুঝতেছি না।
উচ্ছেদ অভিযানে বাঁধা প্রদানের ব্যাপারে ধামরাই পৌর মেয়র গোলাম কবির বলেন, এই উচ্ছেদটা মনে হয় কারো ব্যক্তি স্বার্থে করা হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট জানতে পারলাম এখানে ইউলুপ হবে। এখানে ইউলুপ করার কি দরকার, আমি কিছু বুঝি না। যেখানে মানুষের যাতায়াতের কষ্ট হয় সেখানে ইউলুপ দরকার। কিন্তু এখানে নদীর ওপাশ থেকে আন্ডারগ্রান্ড দিয়ে কোন কানেকটিং রাস্তা থাকলে তাহলে ইউলুপ দরকার ছিল। নদী পাড় হওয়ার জন্য ইউলুপ দিয়ে মানুষ গাড়ি নিয়ে নদীতে পড়ার জন্য এই ইউলুপ তৈরি করা হচ্ছে কি না, আমি জানি না।
তবে তিনি কেন বালু মহল রক্ষা করতে এসেছেন সে ব্যাপারে কোন সদোত্তর দিতে পারেননি এই জনপ্রতিনিধি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সওজ অধিদপ্তরের উপ-সচিব মাহবুবুর রহমান ফারুকী জানান, যানজট নিরসনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক প্রশস্তকরণসহ এই এলাকায় ইউলুপ ও আন্ডারপাস তৈরির কাজ কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে। তাই নির্দেশনা অনুযায়ী মহাড়কটির উভয় পাশে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এজন্য গত ২৬ মে অত্র এলাকায় নোটিশ ও মাইকিং করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ইসলামপুর এলাকায় বালু মহল উচ্ছেদে গেলে সেখানকার পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাঁধায় অভিযান কিছুটা বিলম্বিত হয়। পরে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার বিষয়টি তাদের বোঝানো হলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা। এছাড়া বালু মহল গুলোকে সরে যেতে সময় বেধে দেওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন