সাতক্ষীরা সদর এমপিকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০১ জুন) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আপামর জনসাধারণের আয়োজনে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক হতে একটি বিশাল ব্যানার সম্বলিত বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। হাজার হাজার মানুষের সমন্বয়ে বিক্ষোভ মিছিলে সাতক্ষীরার সকল অপকর্মের হোতা চাঁদাবাজ আবু আহমেদ ও রাজাকার পুত্র আবুল কালাম আজাদের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে স্লোগানে সাতক্ষীরা শহর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। পরে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শেখ নূরুল হকের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য অতিরিক্ত পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ, মুনছুর ডাক্তার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ আব্দুল মান্নান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎ¯œা আরা, আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান হবি, আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান (ময়ুর ডাক্তার) পৌর যুবলীগের সভাপতি মোঃ মনোয়ার হোসেন অনু প্রমূখ। 

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের দু’গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দল হয়েছে, মারপিট হয়েছে। এটি তাদের নিজস্ব বিষয়। এছাড়া, বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি বিভিন্ন অভিযোগ এনে আবু আহমেদের সদস্য পদ বাতিল করেছে। আর আবু আহমেদের স্বার্থে ঘা পড়েছে বলেই এমপি রবির বিরুদ্ধে কিছু সাংবাদিকদের দিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। একজন জননেতা সকলের প্রিয় মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জড়িয়ে কেনো ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য দেওয়া হলো এর জবাব চায় সাতক্ষীরাবাসী। সাতক্ষীরার সকল অবৈধ ব্যবসা থেকে শুরু করে মাদক চোরাচালানি, চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ সকল অপকর্মের হোতা এই আবু আহমেদ কিভাবে প্রেসক্লাবের মত একটি প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দেয় সাতক্ষীরাবাসি তা জানতে চায়। একই সাথে তার সহযোগি তালিকাভূক্ত জেলাখাটা রাজাকার পুত্র আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে এমপি রবির মত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো-(০০০১) এর বিরুদ্ধে। এ থেকে বোঝা যায় রাজাকারের ছেলে রাজাকারই হয়। সে কৌশলে একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়েকে বিয়ে করে জাতে উঠতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি, কারণ রক্ত কথা বলে।
বক্তারা সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করে বলেন, আপনারা কারো স্বার্থের জন্য বলি হবেন না। তারা বলেন, এখনকার পর থেকে যদি এমপি রবির বিরুদ্ধে কোন মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সংবাদ পরিবেশন বা বক্তব্য দেওয়া হয় তাহলে দোষীরা ছাড় পাবে না। সাতক্ষীরার আপামর জনগণ গণধোলাই দিয়ে পাগলা গারদে পাঠাবে তাদের। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, আপনারা জনগণের প্রতিপক্ষ নন। আপনারা দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে লেখনীর কলম চালান। অন্যের স্বার্থে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মহৎ পেশাকে কলঙ্কিত করবেন না।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ সরদার, সহ-সভাপতি বিকাশ চন্দ্র দাস, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য মীর মহিতুল আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, আব্দুর রশিদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম, জেলা তাঁতীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর আজহার আলী শাহীন, পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. জোহর আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান আলী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা সুলেখা দাস, রোখসানা পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক সোনিয়া পারভীন শাপলাসহ জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এপিপি এ্যাড. শেখ তামিম আহম্মেদ সোহাগ।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে গঠনতন্ত্র বর্হিভ’ত কার্যাকলাপ ও বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করে আসছিলেন সাংবাদিকদের একটি বৃহৎ অংশ। এরই জের ধরে গত ৩০ মে সাংবাদিকদের দুটি গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এছাড়া, উভয় পক্ষের একাধিক সাংবাদিককে আসামী করে সদর থানায় পাল্টা পাল্টি মামলা হয়েছে।
এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি একটি পক্ষের হয়ে কাজ করছেন এমন অভিযোগ তুলে আবু-কালাম পক্ষ তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।