বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নেই যানজট

কাঁচপুর ফ্লাইওভার ও দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী সেতু

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল কুমিল্লা থেকে : | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। ঈদের ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেন ঘরে ফেরা মানুষ। ঈদযাত্রায় সড়ক পথে যানজট না থাকায় রাজধানী থেকে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। গতকাল সোমবার সকালে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল মহাসড়কে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। এবার ঈদের ছুটিতে সড়কপথে বাড়ি ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘেœ করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সড়কপথে অন্যান্য বছরের মতো যানজট নেই।

এবার কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী খুলে দেওয়ায় পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। এখন অনেকটাই নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে মানুষ। মহাসড়কে আগের মতো আর যানজট নেই। স¤প্রতি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুর উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে কোনাবাড়ী উড়াল সড়কটিও উদ্বোধন করেন। এরপর এগুলো যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। গত মার্চে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড, সোনারগাঁর কাঁচপুর এবং মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকা ছিল যানজটপ্রবল।

প্রতি বছর ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের জন্য এই তিনটি স্থান ছিল আতঙ্কের নাম। শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও গোমতীতে তিনটি নতুন সেতু নির্মাণের পর দেড় ঘণ্টায় নেমেছে ঢাকা-কুমিল্লার দূরত্ব। চট্টগ্রাম যেতে লাগছে ৪ ঘণ্টা।

যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর রোজা ও কোরবানীর ঈদ এলেই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয। ঈদের আগে ও পরে ৫-৬ দিন এই যানজট স্থায়ী থাকে। কিন্তু এ বছর হয়েছে পুরোটাই উল্টো। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং চারলেন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী সংস্থা ব্রিজের দুপাশ খুলে দেওয়ায় দ্রুত গতিতে চলছে দুদিক থেকে যানবাহন।

এছাড়া মেঘনা সেতুর পূর্ব প্রান্তে বসানো হয়েছে মোবাইল কোর্ট ও স্টাইকিং ফোর্স। বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছেন, জেলা ও থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, এপিবিএন সদস্য, ট্রাফিক পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। কুমিল্লা জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ এবং পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও পুলিশের সঙ্গে কাজ করছেন যানমুক্ত রাখার জন্য বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন