“উত্তর জনপদে ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের স্বস্তির সাথে শঙ্কাও রয়েছে” শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাবের রিপোর্টটির সত্যতা প্রমাণিত হলো। ঈদের ২/১ দিন পূর্বে এ অঞ্চলের যাত্রীদেরকে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তা কল্পনারও অতীত। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পূর্ব পাড়ে প্রায় ৩০ কিঃমিঃ ও পশ্চিম পাড়ে ২০ কিঃমিঃ পর্যন্ত যানজট যাত্রীদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে। ঘন্টার পর ঘন্টা ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। সেতুতে ২ ঘন্টায় একটি গাড়ীও ইঞ্চি পরিমাণ সরেনি। এমন অস্বস্তিতে বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, শিশু-কিশোর, অসুস্থ মানুষ সহ সর্বস্তরের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। যাত্রীদের ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকার বিরক্তি ও অসহ্য গরমে ঘেমে এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে যে, তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়। শুধু কি তাই যানজটের রেকর্ড ভঙ্গ করায় শেষ পর্যন্ত এক প্রসূতী মাকে রাস্তায় সন্তান প্রসব করতে হয়েছে। দীর্ঘ যানজটে রাস্তায় আটকে পড়া মানুষের পানি, পয়প্রণালী ব্যবস্থা না থাকায় বিশেষকরে মেয়েদের সমস্যা চরমে পৌছে। সবকিছু মিলিয়ে দৈনিক ইনকিলাবের আগাম সংবাদটির জন্য অনেকেইে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেই সঙ্গে ধ্বিক্কার প্রদর্শণ করেন তাদের যারা প্রতিবছরই ফলাও করে বলে থাকেন নির্বিঘেœ ঘরে ফিরবে যাত্রীরা, এবার যানজট মুক্ত হবে ঈদ যাত্রা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন